কর্নেল অব. অলি আহমদের নেতৃত্বে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটি, দলটির অঙ্গ সংগঠন গণতান্ত্রিক যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি ও গণতান্ত্রিক ওলামা দল থেকে ‘গণপদত্যাগে’র ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ড. আবু জাফর সিদ্দিকী ও যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদদীন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবু জাফর সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে দল করছি। দলের চেইন অব কমান্ড নেই। আমাদের দলের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সঙ্গে নাকি বিএনপির সঙ্গে, আমরা কিছুই স্পষ্ট না। তিনি কখনও জাতীয় সরকারের কথা বলেন, কখনও জোট করার কথা বলেন। ফলে আমরা অন্ধকারে। ঠিক তিনি কী চাইছেন। সে কারণে আমরা পদত্যাগ করছি। কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা, যুবদল ও ওলামা দলের সবাই পদত্যাগ করছি।’
আবু জাফর সিদ্দিকী উল্লেখ করেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় দলের সভাপতির কাছে জানতে চেয়েছি, দলের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। কিন্তু তিনি পরিষ্কার করেননি কখনও।’
‘অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি থেকে গণপদত্যাগ প্রসঙ্গে’ শীর্ষক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রপন্থী মানুষেরা যখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কার্যকর গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার সংগ্রামে সক্রিয়, তখনও অলি আহমদ তার নেতৃত্বের পুরো ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এলডিপিকে একটি “রহস্যজনক রাজনৈতিক” দল হিসেবে ব্যবহার করছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক হয়ে গত ১০ বছর ধরে জোটবিরোধী কার্যক্রম করেছেন। অবস্থান নিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে।’
জামায়াতকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, ‘সক্রিয় একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও একটি বিশেষ দলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা দেখা গেছে চরমমাত্রায়; যা এলডিপির রাজনৈতিক আদর্শ ও লক্ষ্যকে দলিত-মথিত করে ফেলেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এলডিপি একটি হাস্যকর প্রতিক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে।’
এতে অভিযোগ করা হয়, ‘দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অলি আহমেদ চূড়ান্ত অর্থে ‘কর্তৃত্ববাদী ও আত্মঅহঙ্কারে’ নিমগ্ন একজন মানুষ। অথচ, জাতীয়তাবাদী শক্তির আধার হিসেবে শত-শত তরুণ-যুবক ও রাজনীতিক তার নেতৃত্বের ছায়াতলে এসেছিল। কিন্তু দিন যত বয়েছে, তার পরিবর্তিত রূপ দেখে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছে, ভেঙে পড়েছে।’
‘তিনি তার মনমতো দলীয় পদ ব্যবহার করেছেন, বাটোয়ারা করেছেন। নিজের মনমতো পদে বসিয়েছেন, পদ থেকে সরিয়েছেন। একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ন্যূনতম যে অঙ্গীকার থাকে, তা তিনি স্পষ্টরূপে দীর্ঘদিন ধরে ব্যত্যয় করে এসেছেন,’ বলে দাবি করা হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
পদত্যাগকারী নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে যারা রয়েছেন তারা হলেন, ‘সহ-সভাপতি ড. আবু জাফর সিদ্দিকী, উপদেষ্টা পুষ্টিবিদ ফরিদ আমিন, যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মো. ইব্রাহিম রওনক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি এ এস এম মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. আফজাল হোসেন মোর্শেদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক শফিউল বারী রাজু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক লস্কর হারুনুর রশিদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন মণ্ডল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমরান, গণতান্ত্রিক যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ ফয়সাল ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন পাঠান বিপ্লব, কাজী কামরুল হাসান, জাহাঙ্গীর আল সানি, হারুন অর রশিদ, ইউনুস বেপারী, রেজওয়ানুল ইফতেখারসহ ১০০ জন, গণতান্ত্রিক ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা বদরুদ্দোজা, সদস্য সচিব মাওলানা আবদুল হাই নোমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মাওলানা আনোয়ার হোসাইনসহ ২৩ জন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হকসহ ৭৪ জন।’ আরও রয়েছে এলডিপির সাধারণ ২১ সদস্যের নাম।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়