সুস্বাদু, সুমিষ্ট ও মুখরোচক ফল আঙুর। আঙুরের জুস সারা বিশ্বেই অনেক জনপ্রিয়। এর অনন্য স্বাস্থ্য উপকারিতাই এটিকে চাহিদার শীর্ষে নিয়ে গেছে।
বিশ্বে ছয় হাজার বছরেরও আগে থেকে আঙুর তার ঔষধি গুণাগুণের জন্য পরিচিত। আগে মিসরীয়রা আঙুরকে ওষুধ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এ ছাড়া ত্বক ও চোখের চিকিৎসায় আঙুরের রস থেকে মলম তৈরি করা হয়েছিল।
বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, কলেরা, গুটিবসন্ত, লিভারের রোগ— এমনকি ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে আঙুর এবং পাকা আঙুরের জুস ব্যবহার করা হয়।
আঙুর নিয়ে গবেষণায়ও মিলেছে এসব উপকারিতার প্রমাণ। আজ জানুন আঙুরের জুসের বিজ্ঞানসম্মত কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা—
১. হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
আঙুরের জুসে বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যালস যেমন— রেসভেরাট্রোল এবং কোয়ারসেটিন, প্রোসিয়ানিডিনস, ট্যানিন এবং স্যাপোনিনস নামের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা আপনার হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ছাড়া আঙুরের জুসে ভালো কোলেস্টেরলের (এইচডিএল) মাত্রাও বৃদ্ধি করে, যার কারণে এটি রক্তনালিতে প্রদাহ কমায় এবং তাদের শিথিল করার ক্ষমতা উন্নত করে।
২. স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি কমায়
বয়স্কদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে আঙুরের জুস। আঙুরের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি নিউরোনাল সিগন্যালিংকে প্রভাবিত এবং উন্নত করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, আঙুরের জুসে রেসভেরাট্রোল যুক্ত থাকার কারণে এটি একটি চমৎকার মস্তিষ্কের টনিক হতে পারে।
৩. রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে ও ডায়াবেটিসে উপকারী
আঙুরের জুসে অ্যান্থোসায়ানিনস, প্রোয়ান্থোসায়ানিডিনস, ফ্লেভোনলস, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং রেসভেরাট্রোল নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আর এ কারণে এটি রক্তের গ্লুকোজ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধী
লাল আঙুরের জুস আমাদের ডিএনএ ক্ষতিকে বাধা দিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। কোরিয়ায় পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত আঙুরের জুস খেলে তা ইমিউন সিস্টেম কোষে অক্সিডেটিভ ডিএনএ ক্ষতির মাত্রা হ্রাস করে। এ ছাড়া আঙুরের রস তাদের মধ্যে প্লাজমা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এ কারণে আঙুরের জুস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
৫. মেদ কমাতে সহায়তা করে
লাল আঙুরের রস মেদ কমাতে সহায়তা করতে পারে। এতে ইলাজিক অ্যাসিড থাকার কারণে এটি শরীরে বিদ্যমান চর্বির কোষ বৃদ্ধি ও তার নতুন গঠনে বাধা প্রদান করতে পারে। এ ছাড়া সাদা আঙুর ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে অনেক কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়