রাজধানী ঢাকার মধ্যবাড্ডা এলাকার বাসিন্দা খাইরুল আলম। একটি মুদি দোকানে কাজ করেন। স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্য চারজন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। ছোট মেয়ের শারীরিক নানান জটিলতা থাকায় প্রতি মাসে চিকিৎসায় ব্যয় হয় বড় অংকের টাকা। সরকারি হাসপাতাল থেকে মেলে না সব ওষুধ। অ্যান্টিবায়োটিক বা কিছু দামি ওষুধ কিনতে হয় বাইরে থেকে। এর মধ্যে দামও বেড়েছে কয়েক গুণ। টেস্টেরও খরচ আছে।
স্থানীয় একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে এসেছেন পারুল। থাকেন বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকায়। নিজে বাসাবাড়িতে কাজ করেন। স্বামী রিকশা চালান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ঠান্ডা, কাশি, জ্বর তো সব সময় লেগেই থাকে। মাঝে ছোট ছেলের ডেঙ্গু হওয়ায় তার পেছনে অনেক টাকা লেগে গেছে। ওষুধের দামও বেড়েছে অনেক। খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু ফারহাতুলের চিকিৎসা খরচ চালাতে জমি বিক্রি করেছেন তারা বাবা। কোটি টাকার বেশি খরচ হয়ে গেছে তার চিকিৎসায়। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি ওষুধই প্রয়োজন হয়। নানান টেস্ট আর রক্ত দেওয়ার খরচ তো আছেই।
ফার্মেসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক গরিব মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনতে আসেন। তবে ওষুধের দাম শুনে নেওয়ার সাহস করেন না। অনেকে নিলেও অল্প করে নিতে চান। আমরা না দিতে চাইলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ও খুচরাভাবে দিতে হয়।
প্রায় সব ওষুধেরই দাম বেড়েছে জানিয়ে তারা বলেন, আসলেই মানুষ অনেক কষ্টে আছে।
এভাবেই সারাদেশের রোগাক্রান্ত মানুষ চিকিৎসা খরচে দিশেহারা। জীবনযাপনে প্রতিটি খাতেই বেড়েছে ব্যয়। সুস্থ থাকার জন্য যে চিকিৎসা ব্যয় তা বেড়েছে অনেক বেশি। দেশের নানা জায়গায় এরই মধ্যে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচও। এ অবস্থায় চিকিৎসা করাতেই পকেট ফাঁকা হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়