বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কোটি টাকা। এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। কুমিল্লা, বাহ্মনবাড়িয়া ও রাজধানী ঢাকা থেকে গতকাল বুধবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় সাত লাখ টাকা, ১২০টি সীমকার্ড, সিম অ্যাক্টিভেট করার ১টি ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন, ১টি ট্যাব, ৩২টি মোবাইল, ১টি পাসপোর্ট, নোটবুক এবং চক্রের সদস্যদের বেতনের হিসাব বিবরণী জব্দ করে র্যাব।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেফতাররা হলেন-মো.জসিম উদ্দিন, মো. সুলতান মিয়া, মো. বেলাল হোসেন, মো. আবুল হোসেন, মো. আবদুল নুর, মো. আলফাজ মিয়া, মো.শামিম, মো. আহাম্মদ হোসেন, মো. ইমরান উদ্দিন মিলন, মো. সবুজ মিয়া, মো. আব্দুর রশিদ, আব্দুল করিম চৌধুরী, মো. আঙ্গুর মিয়া, আলমগীর হোসেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের মূলহোতা বেলাল জানায়, তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সবুজ ও জসিমকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রতারণার কাজ শুরু করে। তারা বিভিন্ন জেলার সরকার নির্ধারিত করোনা টেস্ট হাসপাতালসমূহে সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিদেশগামী যাত্রী ছদ্মবেশে অবস্থান করে কৌশলে অন্যান্য সাধারণ যাত্রীদের নম্বরগুলো সংগ্রহ করতো। নম্বরগুলো সংগ্রহ করে বেলাল ও সবুজকে দেয়া হত। বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের প্রকৃত করোনা টেস্টের ফলাফল হাতে পাওয়ার আগেই বেলাল ও সবুজ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের করোনা বিভাগের ডাক্তার কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীদের নম্বরে কল দিয়ে করোনা টেস্টের ফলাফল পজেটিভ আসছে বলে মিথ্যা তথ্য প্রদান করতো। পরে উক্ত পজেটিভ রেজাল্ট নেগেটিভ করে দেয়ার কথা বলে প্রতি ভূক্তভোগীর নিকট থেকে জন প্রতি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাঁচ থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিত তারা।
তিনি জানান, আলফাজ, জসিম, শামিম ও সুলতান একই সময়ে বেলাল ও সবুজকে বিভিন্ন জায়গার মোবাইল ব্যাংকিং এর নাম্বার দিয়ে সহযোগিতা করতো। ভূক্তভোগীরা বেলাল ও সবুজের কথা অনুযায়ী ঐ সমস্ত নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতো। ভূক্তভোগীর অবস্থান ও টাকা সংগ্রহের অবস্থান সব সময় ভিন্ন ভিন্ন জেলায় নির্ধারণ করতো তারা। যাতে কেউ তাদের প্রতারণায় বিষয়টি বুঝতে না পারে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, আসামিরা একটি সিম একদিন ব্যবহার করে তা কিছুদিন বন্ধ রেখে পুনরায় ব্যবহার করতো এবং কোনো নাম্বার নিয়ে সন্দেহ হলে তা ফেলে দিত। প্রতারণার এ কাজের জন্য এক হাজার টাকার বিনিময়ে মো. মিলন খোলা বাজারের একশত বিশ টাকার সিম ভূয়া রেজিস্ট্রেশন করে দিতো ।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়