সিকদার পরিবারের সদস্যদের ১১টি ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে দেওয়া বৈদেশিক ঋণসুবিধার তথ্য গোপন করায় ন্যাশনাল ব্যাংককে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিটি কার্ডের জন্য ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডকে (এনবিএল) পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ব্যাংকটিকে জরিমানা গুনতে হবে ৫৫ লাখ টাকা। গত ডিসেম্বর ও চলতি মাসে কয়েক দফায় এসব জরিমানা করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে কোনো ব্যাংককে এ ধরনের অপরাধের জন্য এত জরিমানা করা হয়নি। জরিমানাসংক্রান্ত প্রতিটি চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক লিখেছে, ‘গ্রাহকের ঋণের তথ্য ঋণ তথ্য ব্যুরোর (সিআইবি) ডেটাবেইসে রিপোর্ট না করার অভিযোগে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হলো। এ বিষয়ে আপনাদের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ এ বিষয়ে জানতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেনের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১১টি ক্রেডিট কার্ডে গত পাঁচ বছরে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার ৫২৮ ডলার খরচ করা হয়, প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৮৬ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১১৭ কোটি টাকা।
যাঁদের ক্রেডিট কার্ডের জন্য জরিমানা করা হয়েছে, তাঁদের ১১ জনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই ১১ জনের মধ্যে সিকদার পরিবারের সদস্য ৯ জন ও বাকি ২ জন সিকদার গ্রুপের কর্মকর্তা। তাঁরা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বিদেশে সীমাতিরিক্ত মার্কিন ডলার খরচ করেছেন, যা দেশের প্রচলিত আইনে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অপরাধ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১১টি ক্রেডিট কার্ডে গত পাঁচ বছরে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার ৫২৮ ডলার খরচ করা হয়, প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৮৬ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১১৭ কোটি টাকা।
সিকদার পরিবারের যেসব সদস্য ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন, তাঁরা হলেন রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার, দিপু হক সিকদার, মমতাজুল হক ও লিসা ফাতেমা হক। তাঁরা সবাই ব্যাংকটির প্রয়াত চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের সন্তান। এর বাইরে পরিবারের আরও যাঁরা কার্ড ব্যবহার করেছেন, তাঁরা হলেন রিক হক সিকদারের দুই ছেলে জন হক সিকদার ও শোন হক সিকদার।
পরিবারের আরেক সদস্য হলেন মনিকা সিকদার খান, তিনি নাসিম হক সিকদারের মেয়ে। নাসিম হক সিকদার হলেন প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের মেয়ে। ওই পরিবারের অপর সদস্য জেফরি সিকদারও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সীমার বেশি ডলার খরচ করেছেন। এর বাইরে সিকদার গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সৈয়দ কামরুল ইসলাম এবং গ্রুপের কর্মকর্তা ভারভারা জারিনাও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নির্ধারিত সীমার বেশি ডলার খরচ করেছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়