খুলনায় পাঁচ বছর বয়সী ঘুমন্ত শিশুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে তেরখাদা উপজেলার আড়কান্দী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ মা মুক্তা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত শিশু তানিশা আক্তার তেরখাদা উপজেলার আড়কান্দী গ্রামের খাজা শেখের মেয়ে। তার বাবা খাজা শেখ বাংলাদেশ আনসার ব্যাটালিয়নে কর্মরত। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, আনসার সদস্য খাজা শেখ সাত বছর আগে একই উপজেলার আক্কাস শেখের মেয়ে তাসলিমাকে বিয়ে করেন। তার গর্ভে তানিশা আক্তারের জন্ম হয়। কিন্তু দাম্পত্যকলহের কারণে বিয়েবিচ্ছেদ ঘটে খাজা-তাসলিমা দম্পতির।
খাজা শেখ দেড় বছর আগে মুক্তা খাতুনকে বিয়ে করেন। কিন্তু কোনোভাবেই শিশুকন্যা তানিশা আক্তারকে মেনে নিতে পারছিলেন না সৎ মা মুক্তা খাতুন। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার রাত ১০টার দিকে ঘুমন্ত তানিশা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেন মুক্তা খাতুন।
জানা গেছে, তানিশা নানা বাড়ি থেকে মাঝে মাঝে বাবার বাড়িতে এলে সৎ মা মুক্তা তাকে নির্যাতন করতো। সোমবার শিশু তানিশা বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে দাদির কাছে ঘুমায়। সেখান থেকে সৎ মা মুক্তা তাকে উঠিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে। রাতে ঘুমন্ত তানিশাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় মুক্তা। তানিশার চিৎকারে লোকজন ছুটে গিয়ে রক্ত দেখে তেরখাদা থানায় সংবাদ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশু তানিশাকে উদ্ধার ও তার সৎ মা মুক্তা খাতুনকে আটক করে। জব্দ করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্ত মাখা ধারালো দা। শিশুটিকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সোমবার রাতেই চিকিৎসকরা তানিশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়