দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১৪৩টি। তবে গবেষণায় সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই। ইউজিসির ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২০-এ এই তথ্য উঠে এসেছে।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে ইউজিসি থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে মোট ব্যয় করেছে ৭২ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার টাকা। আটটি বিশ্ববিদ্যালয় কোনও অর্থ ব্যয় করেনি। ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যলয়ের মধ্যে ৭৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় খরচ করেছে ১১১ কোটি ৭২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
এর মধ্যে ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়নি ২০২০ সাল পর্যন্ত। অনুমোদন বাতিল থাকায় ইবাইস ইউনিভার্সিটি, দি কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি এবং কুইন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য সংযুক্ত করা হয়নি প্রতিবেদনে।
গবেষণা খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ এবং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে গবেষণার জন্য বরাদ্দ দেয় সরকার। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকারি বরাদ্দ নেই।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যয়ের তালিকায় আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবির ব্যয় ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছে ৫ কোটি ৬৮ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯২ টাকা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৫ হাজার টাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৩ কোটি ৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩ কোটি টাকা ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সর্বোচ্চ ব্যয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গবেষণায় ব্র্যাক ইউনিভিার্সিটি সর্বোচ্চ ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয় করেছে। সর্বোচ্চ ব্যয়ের তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি—প্রায় ২২ কোটি ২১ লাখ টাকা, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি করেছে প্রায় ১২ কোটি ১৭ লাখ টাকা, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) গবেষণায় ব্যয় করেছে প্রায় ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ব্যয় ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) প্রায় ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ব্যয় করেছে প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
ইউজিসির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়—দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলোচনাক্রমে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। এতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা ও চাহিদার কথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জানাবে। চাহিদার নিরিখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান বের করবেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গবেষণার জন্য অর্থ পাবে।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিদেশি বিশ্ববিদ্যায়গুলোর সঙ্গে কোলাবরেশনে বা আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে গবেষণার অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডেডিকেডেট টিম আছে তাদের। যেসব শিক্ষকরা রিসার্চ ফান্ডের দায়িত্বে রয়েছেন তারাও যোগাযোগ করেন। এই চেষ্টা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। আমরা যে অর্থ দেই কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেটারও সঠিক ব্যবহার হয় না।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়