২০১০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের জনবল নিয়েই শুরু হয় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) কার্যক্রম। করপোরেশনের কর্মকর্তাদের প্রেষণে সংযুক্ত করা হয় বোর্ডে। জনপ্রশাসন থেকে প্রেষণে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিচালক, উপ-পরিচালক পদগুলোতেও জনবল দেওয়া হয়। পরে ২০১৭ সালে নিজস্ব জনবল নিয়োগ দেয় বোর্ড। এখন সেখানে কর্মকর্তা আছেন ১৩ জন। এদের সাতজনই প্রেষণে এবং ছয়জন বিটিবি’র সরাসরি নিয়োগকৃত।
সূত্র জানায়, গত দুই বছরে দু’জন কর্মকর্তা বোর্ডের চাকরি ছেড়েছেন। সবচেয়ে বেশি চাপে থাকেন বোর্ডের নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। একজন কর্মকর্তাকে একইসঙ্গে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নির্ধারিত ৯-৫টার বাইরেও অফিস করতে হয় তাদের। রাতে তো বটেই, বন্ধের দিনও কাজ করতে হয় অনেককে। অতিরিক্ত সময় কাজ করলেও ওভারটাইম কিংবা আর্থিক সুবিধা বরাদ্দ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশেষ কোনও ঘটনা কিংবা আয়োজনকে কেন্দ্র করে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। কোনও উপলক্ষকে কেন্দ্র করে যদি আমাদের একটানা রাত-দিন কাজ করতে হয় তাতেও আপত্তি নেই। কিন্তু এটা যদি প্রতিদিনের চিত্র হয়, তখন কাজ করা কঠিন। কাজের চাপে সঠিক পরিকল্পনা, গুণগত মান ঠিক রাখাও কঠিন। আমরা মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। অনেক আশা নিয়ে এখানে জয়েন করলেও সবাই ছেড়ে যাওয়ার পথ খুঁজছেন। এ ছাড়া উপায় নেই।’
জানা গেছে, দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, প্রচার ও বিপণনের জন্য ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ১৪৩ নম্বর আদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিটিবি)। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত এই প্রতিষ্ঠান ১৯৭৩ সালে কার্যক্রম শুরু করে। শুরু থেকেই এ প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন স্থানে হোটেল, মোটেল, কটেজ, রেস্তোরাঁ, পিকনিক স্পট প্রতিষ্ঠা করে। এ ছাড়া রেন্ট-এ কার ও ভ্রমণ ইউনিটের মাধ্যমে পর্যটকদের জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রমও পরিচালনা করছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত প্রতিষ্ঠানটি অন্যান্য বেসরকারি পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগী হয়ে ওঠে।
এদিকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা যায় নীতিগত বিষয়গুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। পরে পর্যটন আইন ২০১০-এর মাধ্যমে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় পর্যটন সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) গঠন করে সরকার। শুধু পর্যটন খাতের বিকাশে কাজ করবে, এ শর্তেই গড়ে ওঠে সংস্থাটি।
জনবল সংকটের কারণে এখন বোর্ডের কর্মীরা যেমন মানসিক চাপে আছেন, তেমনি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে গুণগত পদক্ষেপ নিতেও সফল হচ্ছে না বোর্ড। জনশক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের বোর্ডে মোট ২৮ জন কাজ করেন। জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি। সরকারও বিবেচনায় নিয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়