অবিরাম বৃষ্টি আর ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ছয় ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কাউনিয়া উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের ১০টি গ্রামের মানুষও কোমর সমান পানিতে ডুবে আছেন। ওইসব গ্রাামের বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি রাত পর্যন্ত ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ছে। তবে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।
গঙ্গাচড়া পয়েন্টে এখন বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ, মর্নেয়া, লক্ষ্মিটারি, আলমবিদিতর, নোহালী গজঘণ্টা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে এখনও হাটু থেকে কোমড় পরিমাণ পানিতে তলিয়ে আছে। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় শত শত পরিবার বাড়ি ছেড়ে তিস্তা নদী রক্ষা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা বেগম জানান, রাতে পানি বেড়ে যাওয়ায় মাইকিং করে পানিবন্দি মানুষকে বাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আশার কথা সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে ডালিয়া ও গঙ্গাচড়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব।
কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বাড়ায় উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের ১০টি গ্রাম কোমর পানি পর্যন্ত তলিয়ে গেছে। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় শত শত পরিবার উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়