ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের গদখালীতে জমে উঠেছে ফুলের বাজার। নতুন বছরের শুরু থেকেই মৌসুমের প্রথম ফুল ওঠা শুরু হয়। সারাবছরই ফুলের রমরমা ব্যবসা থাকলেও এ সময়টাতে শীতার্ত আবহাওয়া থাকায় দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে ফুলের রাজধানী গতখালী।
ফুলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, যশোর সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের পানিসারায় গড়ে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ ফুল উৎপাদন কেন্দ্র। ১৯৮২ সালে গদখালীর শের আলী সরদারের হাত ধরে রজনীগন্ধা দিয়ে প্রথম চাষ শুরু হয় গদখালীর মাটিতে। প্রতিদিন খুব ভোরে এখানে জমে উঠে বাংলাদেশের বৃহত্তম ফুলের বাজার। ঢাকাসহ নানা জায়গার ব্যবসায়ীরা এসে ট্রাক বা পিকআপ ভর্তি করে ফুল নিয়ে যান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বছর শেষ করে জানুয়ারির প্রথম দিকে নতুন ফুলে ভরে ওঠে এখানকার সব ফুলের বাগান।
প্রতিদিনই এই গদখালীর ফুলের রাজ্য দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন অসংখ্য নারী-পুরুষ।
দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের পদচারণায় এ সময়টাতে মুখর হয়ে ওঠে ফুলের রাজধানী। ফুলের সঙ্গে ভ্রমণপিপাসুদের আরও একটি বিনোদন দিতে সম্প্রতি ফুলের রাজধানী গদখালীর ফুলের রাজ্যে গড়ে উঠেছে মিনি পার্ক, যা থেকে ফুলের এই রাজধানীতে ভ্রমণ করতে আসা মানুষের মাঝে আগের থেকে বেশি বিনোদন ও ফুলের ক্রয়-বিক্রয় হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ফুলচাষি ইসমাইল হোসেন জানান, এখন ফুলের ভরা মৌসুম। প্রতিবছরের এই সময়টাতে যেমন ফুল উৎপাদন বেশি হয়, তেমনি ফুলপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের পাদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ফুলের রাজধানী। সামনে কয়েকটি উৎসব আছে, এ কারণে চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে দেশের মাটিতে সম্ভাবনাময় এই ফুল সেক্টরকে আরও গতিশীল করতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতাসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়