সম্প্রতি দাম বাড়লেও সরকারের পদক্ষেপে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাংসদ আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ দাবি করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি হঠাৎ করে চাল, ভোজ্য তেল, চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে এসব নিত্যপণ্যের দাম আগের মতো স্বাভাবিক সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে।
ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার সময় (২০০৮-০৯ অর্থ বছর) বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিলো ১৫ হাজার ৫৬৫ দশমিক ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে (২০১৯-২০) রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৭৫৫ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার। এ সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বেশিরভাগ শিল্পখাতের মতোই তৈরি পোশাক খাতও চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। তবে সরকার এসব চ্যালেঞ্জ হতে উত্তরণে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
সংসদে সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, মুজিববর্ষে (২০২০-২১ অর্থ বছরে) ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে ৬৬ হাজার ২৯১টি বাসগৃহ নির্মাণে এক হাজার ২৫৬ কোটি ৯০ লাখ ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের অনুদানে ইমার্জেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রকল্পের প্রাক্কলিত ৫৯৯ কোটি ২০ লাখ টাকার মধ্যে ১১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। মে ২০২১ পর্যন্ত এখাতে ব্যয় হয়েছে ১০২ কোটি ২০ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম-৪ আসনের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, ১৯৯১ সাল থেকে বিদেশে নারীকর্মী পাঠানো শুরু হয়। ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত (মে ২০২১) মোট নয় লাখ ৫৩ হাজার ২৩৯ জন নারীকর্মী বিদেশে গেছেন।
নোয়াখালী-২ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী জানান, বিগত ১০ (২০১১-২০) বছরে ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৩ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। যার মধ্যে ২০১০ সালে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০২০ সালে সর্বনিম্ন ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন কর্মী বিদেশে গেছেন।
মন্ত্রী জানান, করোনার মধ্যে বৈদেশিক শ্রমবাজার সম্পর্কে মিশনসমূহ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সৌদি আরব, ইউএই, বাহারাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ২৫টি দেশে কর্মসংস্থানে দক্ষ কর্মী তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন করে পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, উজবেকিস্তানের শ্রমবাজারে লোক পাঠানো শুরু হয়েছে। কম্বোডিয়া, সেসেলম ও চীনেও কর্মীরা যাচ্ছেন। এছাড়াও সম্ভাবনাময় দেশসমূহের সাথে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়