ঢাকাই চলচ্চিত্রে বর্তমানে জনপ্রিয় নাম শাকিব খান। গত দুই দশকে দেশের সিনেমায় অনেক নায়ক এসেছেন, চলে গেছেন; কিন্তু সিনেমায় 'খান সাহেব' আছেন জনপ্রিয়তা নিয়ে। এজন্যই তিনি দর্শকদের কাছে 'কিং খান'। সম্প্রতি সমকালের সঙ্গে আলাপ হয় শাকিব খানে। সে আলাপে উঠে আসে তার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ।
'লিডার, আমিই বাংলাদেশ' ছবির শুটিং শেষ হবে কবে?
করোনার সময় শুরু করি শুটিং। করোনার কারণে অনেকের শুটিং থমকে ছিলো বলা যায়। কিন্তু আমি তো বসে থাকতে পারিনা। অনেকেই আমার কাজে ফেরার অপেক্ষায় থাকেন। আমার ছবির শুটিং শুরু মানেই কিন্তু শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান। শতাধিক টেকনিশিয়ানের মুখে হাসি। তাদের মুখে হাসি থাকলে তাদের পরিবারের আর পাঁচজন ভালো থাকে। এক মাসেই শুটিং শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে শেষ হয়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ ছিলো করোনা। বারবার শিডিউল দিয়েও শুটিং পেছাতে হয়েছে। তবে এখন শেষের পথে। আশা করি আর ক'দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
যে প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করেছিলেন শেষ পর্যন্ত কী তা থাকছে?
আমি আমার দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা দিয়ে কাজ করেছি। এখন ডাবিং এবং এডিটিং প্যানেলে গিয়ে দেখা যাবে কতটা কি হলো। তবে আমি আশাবাদি। আমার দর্শক ও ভক্তরা ভালো একটা সিনেমা পাবেন।
'গলুই' নামে আরও একটি সিনেমার শুটিং শুরু করবেন শোনা যাচ্ছে-
ছবিটি নিয়ে আমার সঙ্গে বেশ কযেক মাস ধরে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। প্রযোজক ও নির্মাতা উভয় আয়োজন করে অফিসিয়ালি ছবিটির যাবতীয় বিষয়ে খোলাসা করতে চাচ্ছেন। ওই আয়োজনের দিনই তারা অফিসিয়াল সব জানাবেন। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ছবিটিতে আপনার নায়িকা পূজা চেরি। এটা নিয়ে তো খবর প্রকাশিত হয়েছে-
হুম, সেটা আমার চোখেও পড়েছে। ওইসব খবরে কিন্তু ছবি সংশ্লিষ্ট কারো কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য নেই। নতুন কোনো প্রজেক্ট শুরুর আগে তা নিয়ে খবর প্রকাশিত হবেই। তবে অফিসিয়ালি যেটা জানানো হবে সেটাই তো আসল খবর।
'গলুই' শুটিংয়ের আগে আরও একটি কাজ নাকি করতে যাচ্ছেন। কি সেটি?
দুই একদিনের মধ্যেই সে কাজের খবরও জানতে পারবেন সবাই।
বড় বাজেটের সিনেমার শুটিং করছেন। দেশে সিনেমা হলের অবস্থা তো করুণ। বিনিয়োগ উঠে আসবে?
সিনেমার ব্যবসা এখনও আমাদের দেশে দারুণ। কিন্তু সেটা নানা প্রতিবন্ধকার মধ্যে পড়ে আছে। প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে পারলে সিনেমার সোনালি দিন। এখানে অনেক বড় মার্কেট। তারপরও এখন যে বাজেটের সিনেমা হচ্ছে সেগুলোর টাকা কেবল হল থেকেই তুলে আনা সম্ভব, সঙ্গে মুনাফা। আমার সর্বশেষ 'বীর' ও 'পাসওয়ার্ড' তার উদাহরণ। আর হলের বাইরে অন্যান্য মাধ্যম তৈরি আছে। সেগুলোতে সিনেমার বিক্রি করেও ভালো অর্থ তুলে আনা যায়। তাই সব মিলিয়ে ভালো ছবির ব্যবসা এখনও রয়েছে।
হল সংস্কার ও নতুন হল নির্মাণে সরকার ঋণ দিচ্ছে। এতে কি সিনেমা ব্যবসা চাঙ্গা হবে?
মানুষ আরামে বসে সিনেমা দেখতে চান। সিনেমা হল তো বিনোদনের জায়গায়, সেখানে মানুষ কষ্ট করতে চাইবেন কেনো? সরকার ঋণ সুবিধা দেওয়ায় এখন অনেক হল মালিক তাদের পুরোনো হল সংস্কার করবেন, নতুন হল নির্মাণ হবে। মোট কথা, হলে সুন্দর পরিবেশ ফিরবে। এমনটি হলে অবশ্যই সিনেমা ব্যবসা চাঙ্গা হবে। তবে এসব হলের জন্য কিন্তু মানসম্পন্ন সিনেমাও লাগবে। আমি মনে করি, একশ' মাল্টিপ্লেক্স থাকলে ৫ কোটি টাকা বাজেটে ছবি তৈরি হবে এবং সেসব থেকে মুনাফাও হবে।
শোনা যাচ্ছে আপনি শিল্পী সমিতির আগামী নির্বাচনে প্যানেল দিচ্ছেন?
এই সমিতি নিয়ে আমার আর নতুন করে কিছু বলার নেই। যে সমিতি সিনেমার উন্নয়নে কাজে আসে না, তা নিয়ে কথা বলারও প্রযোজন মনে করিনা। এতো সমিতি সমিতি করে কি হবে? সবার দরকার কাজ। এফডিসি তো সমিতি চর্চা করার জায়গা না। এটি শুটিং করার জায়গা। অথচ এই এফডিসিতে নেই কাজের পরিবেশ। চারদিক ভাঙা, ঘিঞ্জি হয়ে আছে। মেকাপ রুমের করুণ দশা। এসব নিয়ে কথা না বলে তারা আছেন সদস্যপদ স্থগিত আর বয়কট নিয়ে। আর কয়েকজন মিলে শুধু মহড়া নিয়ে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়