গরুর মাংস ৬৩০ টাকা কেজি, ডিম (লাল) প্রতিটি ১১ টাকা ২৫ পয়সা, মুরগি (কক) ২৫০ টাকা কেজি ও শর্ষের তেল ২১০ টাকা লিটার। এমন সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রির মধ্য দিয়ে আজ শনিবার সকালে নাটোরে শুরু হয়েছে ন্যায্যমূল্যের বাজার।
জেলা প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলার বিভিন্ন সমবায় প্রতিষ্ঠান এই বাজারে পণ্য বিক্রি করছে। উদ্বোধনের পরপরই বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অন্য বাজারের তুলনায় কম দামে পণ্য কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভোক্তাদের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসন ন্যায্যমূল্যের বাজার চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের ভবানিগঞ্জ মোড়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে এই বাজারের উদ্বোধন করেন। এর পরপরই ক্রেতারা পণ্য কেনার জন্য ভিড় জমান। এই বাজারে মাছ, মাংস, ডিম, মাছ, শর্ষের তেল, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে। নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সদস্যরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য এই অস্থায়ী বাজারে বিক্রি করছেন।
সকাল ১০টায় ন্যায্যমূল্যের বাজারে ক্রেতাদের উপচে ভিড় দেখা যায়। বাজারে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে, অন্যদিকে ভোক্তাগণ সুলভমূল্যে মানসম্মত পণ্য কিনতে পারছেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে গরুর মাংসের দোকানে। দ্বীপশিখা সমবায় সমিতি তাঁদের পালিত গরু এখানে এনে ক্রেতাদের সামনে জবাই করে মাংস বিক্রি করছে। অন্য বাজারে গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও ন্যায্যমূল্যের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ টাকা কেজি দরে। সর্বনিম্ন আধা কেজি পর্যন্ত মাংস কেনা যাচ্ছে। তাই স্বল্প আয়ের মানুষরাও এখানে মাংস কিনতে এসেছেন।
নূরের আলো নামের একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান ডিম বিক্রি করতে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক মিজানুর রহমান জানান, তাঁদের ডিম আকৃতিতে বড় এবং দামে তুলনামূলক সাশ্রয়ী হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে সব ডিম বিক্রি হয়ে যায়। আগামীতে তাঁরা আরও বেশি করে ডিম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া শিমুল মহিলা সমবায় সমিতি এই বাজারে শর্ষের তেল, মরিচ-হলুদের গুঁড়া ও গাওয়া ঘি বিক্রি করছেন। এখান থেকে শর্ষের তেল কিনে ফল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তেলের ঘ্রাণ শুঁকে বোঝা যাচ্ছে ভেজালমুক্ত শর্ষের তেল। দামও কম।’
ন্যায্যমূল্যের বাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শহরের নিচাবাজার ও স্টেশনবাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। অথচ ন্যায্য মূল্যের বাজারে ৬৩০ টাকা কেজি দরে তিন কেজি মাংস কিনলাম। মাংসের মানও ভালো। ডিম কিনতে আসা কানাইখালীর লাইলি বেগম বলেন, ‘আমি কম দামে ডিম কিনতে এসে দেখি সব ডিম শেষ হয়ে গেছে।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়