জনযুদ্ধের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম পাবনা জেলা পাকিস্তানি সেনামুক্ত হয়েছিল। পাবনার বিপ্লবী জনগণ ২৫ মার্চ শুরু হওয়া ‘অপারেশন সার্চলাইট’ কার্যকর করার জন্য পাবনায় পাঠানো পাঞ্জাব রেজিমেন্টের এক কোম্পানির বেশি সেনাকে সম্মুখযুদ্ধে হতাহত করেছিল। অপারেশন সার্চলাইটের আওতায় সমগ্র বাংলাদেশে পাকিস্তান আর্মি আক্রমণ শুরু করার পর তিনটি জেলায় আর্মিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। এই জেলাগুলো ছিল চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া ও পাবনা। চট্টগ্রামে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর। ৪ এপ্রিলের মধ্যে ইপিআর ও জনগণের আক্রমণে কুষ্টিয়ায় সব পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। ২৯ মার্চ পাবনার বিপ্লবী জনগণের আক্রমণে পাকিস্তানি সেনাদের বেশির ভাগ নিহত হয়। বাকিরা রাজশাহীর দিকে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র পাবনা জেলাতেই সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করে এতগুলো পাকিস্তানি আর্মি খতম করেছিলেন। যুদ্ধের পর ২৮ মার্চ থেকে শুরু করে ১১ এপ্রিল বিকেল পর্যন্ত ১৩ দিন পাবনা শহর শত্রুমুক্ত ছিল।
২৫ মার্চ সকালে পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম বকুল গোপালপুরে আবদুর রাজ্জাক রিদ্দিকের (শহীদ রিদ্দিক) বাড়ির সামনের মাঠে এক জরুরি সভা আহ্বান করেন। উত্তাল মার্চে সমগ্র দেশে দুর্বার গণ-আন্দোলন চলছিল।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়