বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচজন গভর্নরের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বাংলাদেশের অনেক প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা আছে। অনেক প্রতিষ্ঠানপ্রধান আছেন, যারা আসলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার যোগ্য নন। এটা অপ্রিয় সত্য কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভবত একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যেটির গভর্নররা একদম প্রথম থেকে শুরু করে সবাই উপযুক্ত। ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর বা ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অর্থনীতির হূিপণ্ড কিংবা মস্তিষ্ক বলতে পারি। এ হূিপণ্ডের হার্টবিট থেকে বোঝা যায়, অর্থনীতি কেমন চলছে।
গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ অনেক উন্নয়ন করেছে। আর একটি দেশের অর্থনীতির হার্টবিট যেহেতু ব্যাংক, সুতরাং দেশের এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় ভূমিকা নিশ্চয়ই ছিল। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম দেশ। আগামী বছর বা এ বছরের মধ্যেই পিপিপি অ্যাডজাস্টেড জিডিপির দিক থেকে আমরা বিশ্বের প্রথম ৩০টি ১ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপির দেশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। আমাদের অনেক অর্জন আছে। অনেক ওঠানামা হয়েছে। অনেক সংস্কার হয়েছে। বিভিন্ন সময় আমরা ঠেকে শিখেছি। প্রাইভেট ব্যাংক যখন দেয়া হয়েছে, তখন আমরা জানতাম না যে প্রাইভেট ব্যাংক চালাতে হলে কিছু নীতিমালা দরকার। এমন অনেক সমস্যা ছিল এবং এগুলো সংশোধন করা হলো।
এখনো আমাদের অনেক শেখার বাকি আছে। যেমন একই ব্যক্তি বা পরিবারের কাছে একাধিক ব্যাংকের ক্ষমতা চলে যাওয়ার বিষয়টি এখনো আমরা শিখিনি। ধীরে ধীরে শিখব। আমরা এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছি, ধীরে ধীরে আরো উন্নতি করব।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়