বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সয়াবিন আমদানিকারক দেশ বাংলাদেশ। ভোজ্যতেলের পাশাপাশি সয়াবিন থেকে বাই প্রোডাক্ট বা বর্জ্য মৎস্য ও প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদনের প্রধান উপাদান। বাংলাদেশে বিভিন্ন ফিডমিল সয়াবিন মিলসহ অন্যান্য উপাদানের মিশ্রণে মৎস্য ও প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন করে থাকে। কিন্তু এই সয়াবিন মিল এখন বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে রফতানি হচ্ছে। এই রফতানি বন্ধে বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে ফিডমিল মালিকদের সংগঠন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব)।
চিঠিতে সংগঠনটি জানায়, মুরগির গোশত, দুধ ও ডিম উৎপাদনে ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ খরচ হয় খাদ্যের পেছনে। ফিড মিলে মৎস্য ও প্রাণী খাদ্য উৎপাদনে ৭০-৭৫ ভাগ ব্যয় হয় কাঁচামাল সংগ্রহে। ভুট্টা, চালের কুড়া, আটা, ময়দা, সরিষার খৈল, তেল, ভিটামিন ও মিনারেল ইত্যাদি ফিডের প্রধান কাঁচামাল। দেশের ফিডমিলগুলোতে ব্যবহৃত কাঁচামালের বেশির ভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সয়াবিন মিল ও মৎস্য খাদ্যের একটি প্রধান উপাদান। এর ব্যবহার ২৫-৩৫ ভাগ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
জানা যায়, বাংলাদেশে সিটি গ্রুপ এবং মেঘনা গ্রুপ ভারতে সয়াবিন মিল পাঠাচ্ছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ পাঠানো হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব (উপসচিব) মো: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মনে হয় রফতানি হয়। এ বিষয়ে পণ্য শাখার পরিচালক আলতাফ হোসেন ভুইয়ার সাথে কথা বলতে বলেন। আলতাফ হোসেন ভুইয়া নয়া দিগন্তকে বলেন, সয়াবিন মিল ভারতে কতটুকু রফতানি হয় জানি না।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়