আলোচিত মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম নিখোঁজের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রহিমা বেগম আত্মগোপনে ছিলেন। মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতেন। অবিলম্বে মরিয়ম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানান তাঁরা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে রহিমা বেগমের অপহরণ মামলার আসামি মো. মহিউদ্দীনের নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, মামলায় গ্রেপ্তার মো. মহিউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ওরফে পলাশ, নুরুল আলম ওরফে জুয়েল এবং হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই খুলনা পৌর শহরের দৌলতপুরের থানাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, রহিমা বেগম ও তাঁর সন্তানেরা এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছেন। ওই পরিবার ‘মামলাবাজ পরিবার’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রতিবেশীদের ঘায়েল করার জন্য অপহরণের মামলা করা হয়েছিল। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁরা প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করছেন। কয়েক বছর আগে ৮ থেকে ৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তাঁরা প্রতিবেশীদের মামলার ভয় দেখান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মরিয়মের বাবা মান্নান তিনটি বিয়ে করেছিলেন। এর মধ্যে মান্নানের প্রথম পক্ষের ছেলে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া জমি কিনেছিলেন। কিন্তু রহিমা বেগম ও তাঁর পরিবারের লোকজন সেই জমির দখল নিতে দেননি। উল্টো এ ঘটনায় মানহানির মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। সেই মামলায় হেলাল শরীফসহ পাঁচজন আসামি ছিলেন। ওই মামলায় আসামিরা সবাই আগাম জামিন নেন। পরে সেই পাঁচজনের নামেই অপহরণ মামলা করা হয়। আগের মামলায় জামিন হওয়ার পরই নতুন করে ফাঁসানোর জন্য রহিমা বেগমের পরিবার অপহরণের ঘটনা সাজায় বলে দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মালিহা মহিউদ্দিন বলেন, রহিমা বেগমের কাছ থেকে ব্যাগ, কাপড়চোপড়, ওষুধ, প্রসাধনী উদ্ধার করা হয়। তিনি ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এটা কোনোভাবে অপহৃত ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। পত্রপত্রিকা থেকে জানা যায়, রহিমা বেগমের কাছে কোনো মুঠোফোন ছিল না। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে খুলনা না এসে ফরিদপুর গেছেন তিনি। রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজকে ফরিদপুর থেকে মুঠোফোনে তাঁর মায়ের বিষয়ে জানানো হলেও মিরাজের স্ত্রী এ ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তাঁরা বিষয়টি প্রশাসনকেও জানাননি। এসব দেখে স্পষ্টই বোঝা যায়, পুরোটা একটা নাটক। আর এই নাটক সাজানোর মূল কারণ তাঁদেরকে বিপাকে ফেলা।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়