ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণি বোট ক্লাবে অ্যালকোহল পান করে মাতাল হয়ে অশ্লিল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আকৃষ্ট করার চেষ্টা ও ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
নতুন করে পরী মণির বিরুদ্ধে ক্লাবে ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদনে বিষয়ে আদেশ শুনানির জন্য আজ সোমবার (১৮ জুলাই) আদালতে এসে ভোরের কাগজকে এ কথা বলেন বাদী নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, পরী মণি আমার বিরুদ্ধে যে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেছিল তা পুলিশ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ওই মামলা থেকে আমি অব্যাহতি পেয়েছি। এছাড়া পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, পরীমনি সেদিন অ্যালকোহল পান করে ক্লাব ভাঙচুর করে। আমার দিকে গ্লাস ছুঁড়ে মারে। তাই আমি নতুন এই মামলার (ক্লাবে ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টা) জন্য আবেদন করেছি।
সেদিন কি ঘটেছিল- প্রশ্নে নাসির উদ্দিন ভোরের কাগজকে বলেন, পরী মণি প্রথমে ক্লাবে এসে অ্যালকোহল সেবন করে। এরপর মাতাল হয়ে সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি ক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় মাতাল অবস্থায় অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আমাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। এছাড়া বিনামূল্যে একটি অ্যালকোহলের বোতল বাসায় নিয়ে যেতে চায়। আমি রাজি না হওয়ায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গ্লাস ও মোবাইল ফোন ছুঁড়ে মারে। গ্লাস আমার হাতে লাগে। অনেক ব্যাথা পায়। গ্লাস যদি মাথায় লাগতো, তাহলে না জানি কি হতো।
পরী মণি এর আগে আর কখনও বোট ক্লাবে এসেছিল কিনা- প্রশ্নের জবাবে সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, ওইদিনই সে প্রথম এসেছিল। আর কখনও আসেনি।
এদিকে নতুন মামলার আবেদনের আদেশের জন্য সকাল থেকে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে অপেক্ষা করেন বাদী নাসির উদ্দিন। তবে বিচারক বিকালে আদেশ দেবেন বলে জানান। বিকাল তিনটার দিকে ‘মামলাটি গ্রহণ হবে, নাকি হবে না’ সে বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত। বিষয়টি নাসির উদ্দিন ও তার আইনজীবীরা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ৬ জুলাই বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আদালতে এ মামলাটির আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় পরীমনি ছাড়াও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, পরী মণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করে না। পরী মণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে এবং দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। সেদিন বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া একটা যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন। তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন।
একপর্যায়ে পরী মণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরী মণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির ও অন্য আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরী মণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুঁড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুঁড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়