
ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাহিদ রানা। তবে স্কোরবোর্ডে কখনোই লেখা থাকবে না তাঁর গতিময় বলের বিপক্ষে কতটা শঙ্কিত দেখিয়েছে লিটন দাস থেকে শুরু করে জেসন রয়কেও। একে তো সিলেটে ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট, তার ওপর ছোট বাউন্ডারি। যেখানে রানের ফোয়ারা ছোটার কথা, সেখানে গতকাল মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে গেছে ঢাকা।
মাইক্রোফোন মুখের খুব কাছে। তবু কান পেতে শুনতে হচ্ছিল লাউড স্পিকারে ভেসে আসা নাহিদ রানার কথাগুলো। কে বলবে তিনি দুর্ধর্ষ ফাস্ট বোলার, যিনি প্রায়ই দেড় শ কিলোমিটার স্পর্শ করেন। এমন তেড়েফুঁড়ে বোলার কিনা মাইক্রোফোনে এতটা ম্রিয়মাণ! এই কিছুক্ষণ আগেই রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে আরেকবার নিজের বিধ্বংসী রূপ দেখিয়ে এসেছেন।
ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নাহিদের। তবে স্কোরবোর্ডে কখনোই লেখা থাকবে না তাঁর গতিময় বলের বিপক্ষে কতটা শঙ্কিত দেখিয়েছে লিটন দাস থেকে শুরু করে জেসন রয়কেও। একে তো সিলেটে ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট, তার ওপর ছোট বাউন্ডারি। যেখানে রানের ফোয়ারা ছোটার কথা, সেখানে গতকাল মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে গেছে ঢাকা।
জবাবে ১৩.২ ওভারে ৮ উইকেটে হেসেখেলে জিতেছে রংপুর। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) পাঁচ ম্যাচ খেলা রংপুরের এটি পঞ্চম জয়। উল্টো অবস্থা ঢাকার। চার ম্যাচের সব কটি হেরেছে দলটি।
বল হাতে এই ম্যাচ জয়ের ভিত্তি গড়ে দেওয়া নাহিদ শোনালেন রংপুরের লাগামহীন জয়ের সাফল্য, ‘মাঠে বলেন কিংবা মাঠের বাইরে, আমাদের বোঝাপড়া অনেক ভালো। এই জিনিসটা মাঠে কাজে দিচ্ছে।’ এসব তো গেল দলীয় সাফল্য। কিন্তু নাহিদের নিজের সাফল্যের রহস্য কী? গত বছর বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়া এই তরুণ ৬টি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে খেলে ২৪ উইকেট নেন। ওই বছর সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচে ৪২ উইকেটের সঙ্গে গতি আর নিখুঁত লাইন-লেন্থে বল করে আলোচনায় আসেন তিনি।
গতবার বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলে মাত্র দুটি ম্যাচে সুযোগ পাওয়া নাহিদ এবার ৫ ম্যাচ খেলে দুবার ম্যাচসেরা হয়েছেন। এরই মধ্যে তাঁর শিকার ৯টি। এমন সাফল্য নিয়ে ভালো লাগা থাকলেও উচ্ছ্বাসা নেই নাহিদের কণ্ঠে, ‘অনেক ভালো লাগছে। এই সময়টা আমি উপভোগ করছি আর চেষ্টা করছি কিভাবে আরো ভালো করা যায়।’
নাহিদের প্রশংসা চলছে গোটা বিপিএলে। অ্যালেক্স হেলস, শাহীন আফ্রিদির মতো তারকা ক্রিকেটাররা নাহিদকে দেখে নিজেদের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। এসব শুনেছেন নাহিদও। তবে আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে রাজি নন তিনি, ‘মানুষ মানুষের প্রশংসা করলে শুনতে ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি, যত পারি এগুলো থেকে দূরে থাকার। নিজের ভেতরে যত আত্মতৃপ্তি কম আসবে, তত আমি সামনে যাওয়ার এবং আমার ভেতরে পারফরম করার ক্ষুধা থাকবে। তাই চেষ্টা করি দূরে থাকার।’
নাহিদ যেভাবে ছুটে চলেছেন, এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে নিয়মিত খেলতে হবে, সে জন্য ফিট থাকা প্রয়োজন। এমনিতে পেসারদের চোটপ্রবণতা বেশি। মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাসকিন আহমেদরা নিজেদের সেরা সময়ে চোটের কারণে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থেকেছেন। অথচ বিরামহীন খেলে চলেছেন নাহিদ। পূর্বসূরিদের দেখে কি শিক্ষা নিচ্ছেন তিনি? এমন প্রশ্নে কোনো রখঢাক না রেখে বললেন, ‘মানুষ যুদ্ধে নামলে গুলি খেতে হয়। ক্রিকেট খেলতে নামলে ইনজুরিতে পড়ব।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়