লাতিন আমেরিকার ১২টি দেশকে নিয়ে এক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ব্রাজিল। সেখানেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা গোটা দক্ষিণ আমেরিকায় বাণিজ্যের জন্য নতুন মুদ্রা (কারেন্সি) চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্য দেশগুলোও তাঁর প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে।
নাম না করে ডলার বন্ধের কথা বলেছেন লুলা। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকার ভেতর বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের বিদেশি মুদ্রার ওপর নির্ভর করতে হয়। তার বদলে আমরা নিজেদের একটি মুদ্রা তৈরি করতে পারি।’ নতুন এই মুদ্রা কীভাবে চালু করা যায়, তা দেখতে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত এক দশকে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো ক্রমেই দক্ষিণপন্থীদের হাতে চলে গিয়েছিল। আবার তা বামপন্থীদের হাতে আসতে শুরু করেছে।
ব্রাজিলের সম্মেলনকে তেমনই এক বামপন্থী জোটের বৈঠক হিসেবে চিহ্নিত করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, একসময় লাতিন আমেরিকায় উনাসুর (ইউনিয়ন অব সাউথ আমেরিকান নেশনস) ব্লক যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা অকেজো হয়ে পড়েছিল। লুলার নেতৃত্বে আবার তা তৈরি হচ্ছে।
১২টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। শুধু পেরুর রাষ্ট্রপ্রধান এতে যোগ দিতে পারেননি। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে দেশের ভেতর ফৌজদারি মামলা হয়েছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকেন সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট দক্ষিণপন্থী বলসোনারো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকে ‘একনায়ক’ আখ্যা দিয়েছিলেন। তাঁকে কোনো সম্মেলনে ডাকা হতো না। লুলা এদিন মাদুরোর প্রশংসা করেছেন। আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপ্রধানও তাঁর প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে, কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান জানিয়েছেন, একটি সংঘবদ্ধ লাতিন আমেরিকা গড়ে তোলার সময় এসেছে। রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমঝোতা হওয়া জরুরি।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়