প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। নির্বাচনে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং সকলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ করা যায় সে জন্য কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এই সব কথা বলেন।
আগামী ২১জুন অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশনের সহায়ক ভূমিকা হিসেবে কাজ করে সাংবাদিকরা। বাংলাদেশের নির্বাচনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট জাতীয় পরিচয় পত্রের কাজ নির্বাচন কমিশন করে আসছে, এখনো তা নির্বাচন কমিশনই করবে। জাতীয় পরিচয় পত্রের কাজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে যে চিটি চালাচালি করা হচ্ছে অচিরেই তার অবসান হবে এবং আশা করি এটি নির্বাচন কমিশনের কাছেই থাকবে।
তিনি আরো বলেন, এক সময়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে জাল ভোট, ব্যালট পেপার চিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটতো। এখন ইভিএমএর মাধ্যমে এ সবের সুযোগ নাই। যার যার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তার পছন্দের প্রার্থীকে ইভিএমএর মাধ্যমে দিতে পারেন। ইভিএম-এ ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। করোনার কারণে অনেক এলাকাতেই ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ও কিছু এলাকায় করোনার প্রকোপ কম থাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনের দিন শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে এই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সব সময় চায় সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে, কিন্তু কোনো দল যদি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করে তাহলে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নাই।
নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা করা কাউকে নির্বাচনে অংগ্রহণের কাজ নির্বাচন কমিশনের না। সকলে যাতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রেখে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন সে জন্য সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো: ফজুলল কাদের, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো: আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এ কামরুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরাদ আহম্মেদ খান, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-২ নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: দুলাল তালুকদার প্রমুখ।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়