লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় অবস্থিত জ্বীনের মসজিদ ইতিমধ্যেই ভ্রমনপ্রেমীদের কাছে সাড়া ফেলে দিয়েছে। দেনায়েতপুর গ্রামে অবস্থিত জ্বীনের মসজিদ একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। ধারণা করা হয় ১৮৮৮ সালে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১১০ ফুট এবং প্রস্থ ৭০ ফুট। রয়েছে তিনটি গম্বুজ।
কথিত আছে, এই মসজিদটি এক রাতের আঁধারেই নির্মিত হয় এবং মসজিদটিতে জ্বীনেরা ইবাদত করতো। গভীর রাতে এলাকার লোকেরা তাদের ইবাদতের আওয়াজ শুনতে পেতো। সেখান থেকেই এর নামকরণ করা হয় জ্বীনের মসজিদ।
মসজিদের তলদেশে প্রায় ২৫ ফুট দৈর্ঘ একটি গোপন কক্ষ রয়েছে যেখানে মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল্লাহ ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। এই ইবাদতখানাটি বর্তমানে পানিতে পরিপূর্ন এবং মসজিদটি এর উপরেই অবস্থিত রয়েছে। স্থানীয় লোকজন এই পানিকে পবিত্র মনে করে থাকে। প্রায় ১৫ ফুট ভিত্তির উপর অবস্থিত এই মসজিদটি দেখতে স্থানীয়রা ছাড়াও প্রচুর মানুষ ভীড় করে। মসজিদের দুই পাশে দুইটি পুকুর রয়েছে।
প্রায় ১৩০ বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি দেখতে ঢাকা থেকে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে লক্ষ্মীপুর। আপনি বাস কিংবা লঞ্চে লক্ষ্মীপুর যেতে পারেন। ইকোনো, ঢাকা এক্সপ্রেস, রয়াল কোচ সহ বিভিন্ন বাস সায়েদাবাদ , মোহাম্মদপুর থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় প্রতিদিন। লঞ্চ সার্ভিসে গেলে আপনাকে প্রথমে চাঁদপুরগামী লঞ্চে যেতে হবে। চাঁদপুর থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে সরাসরি বাস আছে। এছাড়া সি এন জি সহযোগেও যেতে পারেন।
থাকার জন্য পর্যটন কর্পোরেশনের গেস্ট হাউজ সার্কিট হাউ ছাড়াও বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে লক্ষ্মীপুরে। খাওয়াদাওয়া করতে পারেন বিখ্যাত মোহাম্মদীয়া হোতেলে। এছাড়া নন্দন, রোজাগার্ডেন, কুটুমবাড়ি নামে বেশ কিছু চাইনীজ রেস্টুরেন্ট ও আছে লক্ষ্মীপুরে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়