মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা ছেড়ে পরিবারের ভরণপোষণের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন (২৩)। যোগ দিয়েছিলেন পোশাক কারখানায়। ভেবেছিলেন উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বা সুযোগ সেখানেই শেষ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের এ ঘটনা খুবই সাধারণ ও চেনা একটি গল্পের পুনরাবৃত্তি। অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারের নারীদের এমন গল্প হরহামেশাই শুনতে পাওয়া যায়। এসব নারীর শ্রমেই বৈশ্বিক পোশাক শিল্পের অন্যতম প্রধান হাব হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এইচঅ্যান্ডএম বা ওয়ালমার্টের মতো বৈশ্বিক নামিদামি পোশাক ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোও তৈরি হচ্ছে তাদের হাত দিয়েই। বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যানও বলছে, দেশের পোশাক শিল্পে কর্মরত কর্মীদের ৮০ শতাংশই নারী।
ঘটনাটি সাধারণ হলেও সাবিনা ইয়াসমিনের জন্য চাকরিতে ঢোকার সিদ্ধান্তটি সহজ কোনো বিষয় ছিল না। কারণ চাকরিতে ঢোকা মানেই পড়াশোনার ইতি। কিন্তু পরিবারের প্রয়োজনে এর বাইরে তার আর কোনো উপায়ও ছিল না। সাবিনা ইয়াসমিনের নিজের ভাষায়, বিষয়টি আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল।
তবে সাবিনা ইয়াসমিনের গল্পটির এখানেই শেষ নয়। ২০১৭ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) ‘পাথওয়েজ ফর প্রমিজ’ প্রোগ্রামের আওতায় আবারো পড়াশোনায় ফিরে আসার সুযোগ পান তিনি। পোশাক শিল্পের কর্মীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীভুক্ত নারীদের জন্য গৃহীত এ প্রোগ্রামের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রতি শেষ হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়