'ফুটবলকে বাঁচাতে' ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভ্যন্তরে বেশ কিছু কর্তাব্যক্তি জোট বেঁধেছেন। তাদের উদ্দেশ্য ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোকে নিয়ে আলাদা একটা লিগ আয়োজন করার। ইউরোপের সেরা দলগুলোকে নিয়ে ‘ইউরোপিয়ান সুপার লিগ’ নামে একটা নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। ১২ টি ক্লাব একজোট হয়ে রবিবার এই লিগের আত্মপ্রকাশের কথা ঘোষণা করেছে।
লিগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রিয়েল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ দাবি করেছেন, ফুটবলকে বাঁচাতে এই উদ্যোগ।
এই টুর্নামেন্ট চালু হলে ইউরোপিয়ান ফুটবলের কাঠামোয় আমূল বদল আসতে পারে। উয়েফা এবং ফিফাকে কার্যত চিন্তায় ফেলে ইউরোপে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সমান্তরাল এই ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হতে চলেছে। এই ইউরোপিয়ান সুপার লিগে অংশ নিতে চলেছে ইংল্যান্ডের ছয়টি ক্লাব। এগুলো হলো ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল ও টটেনহ্যাম। স্পেন থেকে নাম লিখিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও আটলোটিকো মাদ্রিদ। ইতালির সিরি ‘আ’ থেকে এই টুর্নামেন্টে যোগ দিয়েছে জুভেন্টাস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। সবমিলিয়ে আপাতত ১২ ক্লাব নিয়ে শুরু হতে চলেছে এই লিগ। আরও ৩টি ইউরোপিয়ান ক্লাবের যোগদানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে জার্মানি ও ফ্রান্স থেকে কোনও ক্লাব এই নতুন লিগে যোগ দেয়নি।
এই বছরের আগস্ট থেকে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঠিক হয়েছে সপ্তাহের মাঝখানে লিগের ম্যাচগুলি হবে। আপাতত ১২টি দল যোগদানের কথা ঘোষণা করলেও ২০ দল নিয়ে লিগ আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। লিগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরও ৩টি ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবের তালিকায় রয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা দল হিসেবে ১৫টি দল প্রতিবছরই লিগে থাকবে। এছাড়া প্রতিবছর ৫টি নতুন দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। অর্থাৎ ২০ দলকে নিয়ে হবে সুপার লিগ।
২০টি দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতি গ্রুপে ১০টি করে দল ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে ম্যাচ খেলবে। দুটি গ্রুপ থেকে শীর্ষে থাকা তিনটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। কোয়ার্টার ফাইনালের বাকি দুটি জায়গার জন্য দুটি গ্রুপের চতুর্থ ও পঞ্চম দল দুই পর্বের প্লে-অফ ম্যাচ খেলবে। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ধাঁচে হবে। অর্থাৎ, কোয়ার্টার, সেমিফাইনাল হবে দুই পর্বের। ফাইনাল হবে নিরপেক্ষ মাঠে। আর্থিক বিষয় নিয়ে আয়োজকেরা জানিয়েছেন ‘বর্তমান ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার তুলনায় বেশি অর্থ আয় হবে।’ নতুন এই লিগে অংশ নেওয়ার জন্য ‘প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলো ৩.৫ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা) করে পাবে।’
এদিকে সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে রিয়েল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের ইতিবাচক দিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ফুটবলের সব পর্যায়েই সাহায্য করব এবং খেলাটির যে অবস্থানে থাকা উচিত সেখানে পৌঁছে দেব। ফুটবলে সবথেকে বেশি ভক্ত, চারশ কোটির বেশি। বড় ক্লাব হিসেবে তাদের চাহিদার প্রতি সাড়া দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’ সুপার লিগে পেরেজ সহ–সভাপতি হিসেবে পাচ্ছেন জুভেন্টাসের সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেল্লিকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অন্যতম মালিক জোয়েল গ্লেজারও ইউরোপিয়ান সুপার লিগের পক্ষে। তিনি বলেছেন, ‘গোটা মৌসুমজুড়ে বিশ্বের সেরা ক্লাব ও খেলোয়াড়দের নিয়মিত লড়াইয়ের মাধ্যমে ইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন এক অধ্যায় চালু করবে সুপার লিগ। বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সমর্থন পাবে সবাই।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়