দেশের অভ্যন্তরে যেসব অভিবাসন হয় তার ৮৪ শতাংশই রাজধানী ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামমুখী। যেসব পরিবারের অকৃষি খাত থেকে আয় বেশি থাকে, সেসব পরিবারে অভিবাসন কম হয়। তবে যেসব জেলা থেকে অভিবাসন বাড়ছে, সেখানে অনাবাদি জমি ও পতিত জমি বাড়ছে। ফলে গ্রামীণ পর্যায়ে শিল্পায়ন ও অকৃষি খাতের বিকাশে পদক্ষেপ প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আয়োজিত ‘বিআইডিএস ফোর্টনাইটলি সেমিনার-২০২১: লোকাল ননফার্ম অপরচুনিটিস অ্যান্ড মাইগ্রেশন ডিসিশনস: এভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. কাজী ইকবাল বলেন, কাজের জন্য দেশের ভেতরে যে মাইগ্রেশন হয়, তার মধ্যে ৮৪ দশমিক ৩ শতাংশই ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে।
সেকেন্ডারি টাউন করা যেতে পারে জানিয়ে ড. কাজী ইকবাল বলেন, গ্রামের আশপাশে আরেকটা শহর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব করতে পারলে মানুষ শহরমুখী হবে না। কোন ধরনের ইন্ডাস্ট্রি কোথায় থাকলে দেশের ইকোনমিক গ্রোথ ও ডেভেলপমেন্ট হবে, সেটা নিয়ে সরকারের স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের আয় ১ ডলার কমলে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন ৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ফলে অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি বিবেচনায় নিতে হবে। পরিবারগুলোর অকৃষি খাতের আয় ৫৮ শতাংশ। সেখানে পৌরসভা এলাকার পরিবারগুলোর অকৃষি খাতের আয় ৮৪ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রামের মানুষের অকৃষি খাতের আয় প্রায় ৪৯ শতাংশ। যেসব ইউনিয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে, সেখানকার পরিবারগুলোয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দ্রুত হচ্ছে। এসব অঞ্চল থেকে কাজের সন্ধানে এসব পরিবারের কেউ অন্য অঞ্চলে যাচ্ছে কম। এজন্য শিল্প-কলকারখানা বিকেন্দ্রীকরণের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে শিল্প-কারখানার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। অনেক ইউনিয়নে এসএমই থাকায় সেখানকার মানুষের আয় বাড়ছে। তাই তারা কাজের জন্য অন্য জেলায় যাচ্ছেন না। এজন্য স্থানীয়ভাবে অকৃষি খাতে কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজ বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুরুত্বের পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন ও কৃষকের রক্ষার গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রামে ননফার্ম বা অকৃষি খাতের বিকাশ ঘটলে খাদ্য কোথায় উৎপাদন হবে, সেটির সংকুলান কীভাবে হবে সে বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ থাকতে হবে। তা না হলে অর্থ থাকবে কিন্তু খাদ্য পাওয়া মুশকিল হবে। তাই আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাহলে কাজের জন্য শহরমুখী প্রবণতা কমবে।
শাইখ সিরাজ তার বক্তব্যে আরো বলেন, শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যে নিয়ম-নীতিগুলোর কথা বলা আছে, সেগুলো তো কেউ মানে না। গ্রামের ভেতরে কারখানা গড়ে তোলা হলে সেটি আরো বড় ধরনের বিপর্যয় হবে।
অনেক মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি জাপানে কৃষিতে স্মার্ট ফার্মিংয়ে বিনিয়োগ করেছে। সরকারসহ সবার সে বিষয়টিতেই বেশি মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়