নভেম্বর মাসে আইসিসির সেরা নারী ক্রিকেটার হয়েছেন নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে এ পুরস্কার জিতলেন বাঁহাতি এ স্পিনার। সতীর্থ ফারজানা হক ও পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবালকে টপকে এ পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটির সিরিজে ৩ ম্যাচে ১৪.১৪ গড়ে ৭টি উইকেট নেন নাহিদা। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা নাহিদা।
প্রথম ম্যাচে ৮৮ রানে অলআউট হয়ে ৫ উইকেটে হারলেও নাহিদা নেন ৩ উইকেট। পরের ম্যাচে ৪৩ রানে ১ উইকেটের বোলিংয়ের পথে নাহিদা ভাঙেন গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সে ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে আবার বোলিংয়ে আসেন তিনি, সেখানে ৭ রান দিয়ে দুটি উইকেটই নেন। সে ম্যাচে জিতে সিরিজে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।
শেষ ম্যাচে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ১৬৬ রান তুলতেই থামে, তাতে বড় অবদান ছিল ২৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়া নাহিদার। সে ম্যাচে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ৮৬ উইকেট নিয়ে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ২৩ বছর বয়সী এই বোলার। ৪৮ উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তিনে নাহিদা।
মাসসেরার পুরস্কার জেতার পর নাহিদা আইসিসিকে বলেছেন, ‘এ মুহূর্তটা মনে রাখার মতো। এমন মর্যাদাপূর্ণ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া প্যানেল থেকে পাওয়া স্বীকৃতির তাৎপর্য অনেক। আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা আমার জন্য প্রেরণা ও উৎসাহের বিশাল উৎস হয়ে থাকবে।’
এরপর তিনি যোগ করেন, ‘গত কয়েক মাসে আমরা অসাধারণ কিছু ক্রিকেট খেলেছি। দল হিসেবে যে সাফল্য পেয়েছি, তাতে অবদান রাখতে পেরে আমি দারুণ খুশি। অবশ্যই আমার অধিনায়ক, কোচ, সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে হবে সব সময় আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য। এটিই আসলে মানসম্পন্ন দলের বিপক্ষে সহজাত খেলা খেলতে, চাপের মুখে পারফর্ম করার সুযোগ করে দিয়েছে।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়