যুক্তরাষ্ট্রের এ বছরের নির্বাচন আগের যেকোনো নির্বাচন থেকে যে ভিন্ন রকম হবে, সেটা সহজেই অনুমান করা গিয়েছিল। কোভিড-১৯ মহামারি, অর্থনৈতিক সংকট ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিকায় আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে নির্বাচনে নাগরিকদের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে পড়বে, কিন্তু গত কয়েক দিনে পাওয়া তথ্যে নাগরিকদের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে অভাবনীয় আগ্রহ ও উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে আগাম ভোটের সংখ্যা—যুক্তরাষ্ট্রের সময় রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন নাগরিক হয় ডাকযোগে ব্যালট সংগ্রহ করেছেন অথবা ইতিমধ্যে সশরীর ভোট দিয়েছেন। ২০১৬ সালে নির্বাচনের ১৬ দিন আগে এ ধরনের ভোটের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন। এসব থেকে মনে হচ্ছে, ভোটারদের অংশগ্রহণের বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রে একটি অভূতপূর্ব নির্বাচন হতে চলেছে।
যেসব অঙ্গরাজ্য থেকে আগাম ভোটের হিসাব সরবরাহ করা হয়, তার ভিত্তিতে ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার অধ্যাপক মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড ‘ইউনাইটেড স্টেটস ইলেকশন’ ওয়েবসাইটে আগাম ভোটের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছেন; তিনি সব নির্বাচনের সময়ই এ তথ্য সংগ্রহ করেন। এই হিসাবে আটটি রাজ্যের হিসাব নেই, কেননা সেই সব রাজ্য নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে এ তথ্য সরবরাহ করে না। কিন্তু সেসব রাজ্য থেকেও গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে যে ভোটাররা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, অধিকাংশ ভোটারই মাস্ক পরে ভোট দিচ্ছেন। তাঁদের এ উৎসাহের সারকথাটি বলেছেন লাস ভেগাসে ভোটকেন্দ্রের সামনে চেয়ার পেতে অপেক্ষমাণ ভোটার রোনাল্ড ওটিস বয়েড। ৪৯ বছর বয়সী বয়েড ওয়াশিংটন পোস্ট–এর সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো নির্বাচনে যদি লাইন দিয়ে অংশ নিতে হয়, এবারের নির্বাচন হচ্ছে সেই নির্বাচন।’
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়