সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে ঘোষিত চলমান কর্মসূচিতে আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগে রোডমার্চ করবে বিএনপি। সকাল ৯টায় কুমিল্লার কালাকচুয়া খন্দকার ফিলিং স্টেশন থেকে শুরু করে ১৫৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে রোডমার্চ চট্টগ্রাম কাজীর দেউড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হবে। এতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নেতৃত্ব দেবেন।
বিএনপি ঘোষিত ১৫ দিনের আন্দোলন কর্মসূচির শেষ কর্মসূচি হিসেবে এই রোডমার্চকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভাগের পাঁচটি সাংগঠনিক ইউনিটের অধীনে রোর্ডমার্চ সফল করতে গত কয়েক দিন ধরে প্রত্যেক জেলা, নগরী ছাড়াও উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। নেতাকর্মীর প্রস্তুতি সভাও হয়। কর্মসূচির শুরুতে কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ জেলা, মহানগর, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের দাউদকান্দি, গৌরিপুর, ইলিয়টগঞ্জ, মাধাইয়া, আশোরা, চান্দিনা, আলেখারচর, পদুয়ার বাজার, চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার, উপজেলা সদর, বাতিসা ও চিওড়া অংশে নেতাকর্মীরা দলীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে রোডমার্চে সমবেত হবেন। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কে হাজার হাজার ব্যানার-ফেস্টুন এবং বিলবোর্ড টানানো হয়েছে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী বলেন, মহাসড়কের উত্তর জেলার অন্তত দশটি স্থানে দলীয় নেতাকর্মীরা শোডাউন করবে এবং অন্তত অর্ধলাখ নেতাকর্মী রোডমার্চ সফল করতে অংশ নেবেন।
দক্ষিণ জেলার চৌদ্দগ্রাম বিএনপি নেতা ডা. একে এম মহিউদ্দিন ভূঁইয়া মাসুম বলেন, রোডমার্চ কুমিল্লা থেকে শুরু হয়ে চৌদ্দগ্রাম অতিক্রমকালে দুটি পথসভায় জনতার ঢল নামবে।
কর্মসূচিতে অংশ নিতে তোড়জোড় শুরু করেছেন দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তিনি জানান, তাঁর নেতৃত্বে নগরীর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে সাত কিলোমিটার এলাকাব্যাপী নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করবে।
কুমিল্লা থেকে রোডমার্চ ফেনী হয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাই হয়ে নগরীর সিটি গেইট, কর্নেল হাট, একে খান মোড়, জাকির হোসেন রোড হয়ে জিইসি মোড় এবং সেখান থেকে ওয়াসা মোড়, আলমাস সিনেমার সামনে দিয়ে এটি বিকেল ৩টায় কাজীর দেউড়ি মোড়-সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছানোর কথা। এরপর দলীয় কার্যালয়-সংলগ্ন নেভাল মোড়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে। জানা গেছে, কাজীর দেউড়ি মোড়ে সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সেখানে করতে দেওয়া হচ্ছে না। আট কিলোমিটার দূরে নেভাল মোড়ে অনুমতি দিয়েছে নগর পুলিশ। সেখানেই সমাবেশ হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন সমকালকে বলেন, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপির শুধু জনপ্রিয়তাই নয়, শক্তিমত্তাও সরকার অনুমান করতে পারবে। কর্মসূচি হবে একেবারে শান্তিপূর্ণ। তবে কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হলে সহ্য করা হবে না। পরিণাম হবে ভয়াবহ।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়