নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে আজ বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আবারো বৈঠকে বসবে সার্চ কমিটি। এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সার্চ কমিটির আনুষ্ঠানিক বৈঠক। আজকের বৈঠক থেকেই রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়ার জন্য ১০ জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তবে তালিকার কারো নাম প্রকাশ করবে না সার্চ কমিটি।
গত রোববার সার্চ কমিটির ষষ্ঠ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে কমিটির প্রধান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জানিয়েছিলেন, পরের বৈঠকেই ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হতে পারে।
এর আগে ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তির নাম চেয়েছিল সার্চ কমিটি। পরবর্তী ২৪টি রাজনৈতিক দল ও ছয়টি সংগঠন নামের তালিকা জমা দেয়। ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে নামের তালিকা জমা দিয়েছিলেন। তবে বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বেশ কয়েকটি দল নাম দেয়া থেকে বিরত ছিল। নাম জমা দেয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোট ৩২২ জনের নাম পেয়েছিল কমিটি। ওই তালিকায় অধিকাংশই ছিলেন অধ্যাপক, বিচারপতি, সাবেক সচিব, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে ২০ জনের নামের তালিকা করা হয়। তাদের মধ্য থেকে রোববার ১২-১৩ জনের নাম বাছাই করা হয়। সেখান থেকেই ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করার কথা। তবে আইন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত নামগুলো থেকেই যে ১০ জনের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে, তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এক্ষেত্রে কমিটির নিজস্ব বিবেচনা থেকেও তালিকা চূড়ান্ত করার সুযোগ রয়েছে।
আইনে বলা হয়েছে, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে সার্চ কমিটি। আইনে নির্ধারিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনামের ভিত্তিতে কমিটি সিইসি পদের জন্য দুজন এবং নির্বাচন কমিশনারের চারটি পদের জন্য আটজনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে।
এক্ষেত্রে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে সুপারিশের জন্য মূলত তিনটি যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো সুপারিশকৃতকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয় যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে, বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে। তৃতীয় যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে, সুপারিশকৃতকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সার্চ কমিটিকে নাম সুপারিশের জন্য ১৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে। এর আগেও দুটি নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ ও ২০১৭ সালে কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। ওই সময় সার্চ কমিটির কাছে জমা পড়া কোনো নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে এবার জমা পড়া নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে না বলেও জানিয়েছেন কমিটির প্রধান।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়