সাভার বাসস্ট্যান্ডের রানা প্লাজা ধসের আট বছর পূর্তি আজ শনিবার। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া এ ঘটনাটি সারা বিশ্বে সবচেয়ে বড় শ্রমিক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের অনেকে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারিয়ে পঙ্গু হয়ে বেকার জীবনযাপন করছেন। তাদের অভিযোগ সারা বছর কেউ তাদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি। কথা হয় রানা প্লাজার চতুর্থ তলার প্যান্টম্স অ্যাপারেল্স গার্মেন্ট কারখানা থেকে তিন দিন পর উদ্ধার হওয়া আহত শ্রমিক নিলুয়ার ইয়াসমিনের সাথে। তিনি জানান, তিনি ওই কারখানার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। বর্তমানে কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। তার মূল সমস্যা মাথায়। শরীরে কোনো শক্তি পান না। দুই মেয়ে আর দিনমজুর স্বামীসহ তাদের চারজনের সবাই কষ্টই আছেন। বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণী আর ছোট মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়েন। রাজবাড়ী জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও ভাড়া থাকেন সাভার পৌর এলাকার বাড্ডা ভাটপাড়া মহল্লায়। তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো টাকা-পয়সা পাননি। সামনের দিনগুলো কিভাবে চলবে তা নিয়ে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তা থাকতে হয়।
প্যান্টম্স অ্যাপারেল্স গার্মেন্ট কারখানার আরেক নারীশ্রমিক বাবলী জানান, সংসারের হাল ধরার জন্য পঞ্চম শ্রেণী সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে যোগদান করি। দুই বোন আর চার ভাইয়ের মধ্যে আমি ছিলাম সবার বড়। রিকশাচালক বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে দিশেহারা হয়ে পড়ি। রানা প্লাজার ধসের একদিন পর তাকে সিঁড়ি রুম থেকে উদ্ধার করা হয়। তার বুকে এখনও ব্যথা করে। বর্তমানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানান, তিনি কিছু অনুদান পেয়েছেন। তব ওই সময়ের ঘটনা মনে পড়লে এখনো মন শিওরে ওঠে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়