নব্বই দশকের পর আবারও জোয়ার এসেছে র্যাপ গানের। ক’দিন আগেও র্যাপ গানের প্রকাশনা ছিল অনলাইনে সীমাবদ্ধ। এখন তা জায়গা করে নিচ্ছে দেশীয় সিনেমাতেও। গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘লিডার– আমিই বাংলাদেশ’ ছবির ‘কথা আছে’ গানটি এর অন্যতম উদাহরণ। তাবিব মাহমুদের গাওয়া গানটি এরই মধ্যে শ্রোতাদের মাঝে আলোড়ন তুলেছে। এর আগেও শিশুশিল্পী রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু র্যাপ গান গেয়েছেন তাবিব। যার মধ্যে ‘চাপ নাই’, ‘স্বাধীনতা রক্ষা’, ‘শুধু টাকার জন্য’, ‘শ্বাস নিতে পারি না’, ‘গাল্লি বয়’ সিরিজসহ বেশ কিছু গান শ্রোতার প্রশংসা কুড়িয়েছে। একইভাবে সাড়া ফেলেছিল মীর ব্রাদার্সের আয়োজনে ডিজে মারুফের গাওয়া ‘বাবু খাইছো?’, আলি হাসান ও তাঁর দলের ‘ব্যবসার পরিস্থিতি’সহ বেশ কিছু র্যাপ গান।
অবাক করা বিষয় হলো, যে সময়ে আধুনিক মেলোডি গানের পাশাপাশি রক, ব্লুজ, টোকনো, ফোক, ফিউশনধর্মী আয়োজন শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ করে যাচ্ছে; ঠিক সেই সময়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে র্যাপ গান। তাই শিল্পী আলি হাসানের কাছে প্রশ্ন ছিল, র্যাপ গান নতুন করে আলোড়ন তুলবে– এমন কোনো ধারণা আগে থেকেই ছিল? এর উত্তরে তিনি বলেন, “কিছু মানুষ গান শুনে যদি আনন্দ পায়, সেটাই হবে বড় পাওয়া। সেই আশা নিয়েই ‘ব্যবসার পরিস্থিতি’ গানটি তৈরি করেছিলাম। কিন্তু এ গান যে এমন আলোড়ন তুলবে, তা স্বপ্নেও ভাবিনি। তার চেয়ে বড় কথা, এখন র্যাপ গান গেয়ে আলাদা করে অর্থ উপার্জন করা যাচ্ছে, যা ক’দিন আগে ভাবাও যায়নি।” আলি হাসানের কথার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় সাম্প্রতিক সময়ে র্যাপ গানের প্রকাশনার দিকে নজর দিলে। দিন দিন এর শিল্পী ও সংগীতায়োজকের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। শ্রোতা প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন অনেকে। সাফায়াতের ‘ধামাকা’, অনিক সরণের ‘হিট কইরা দেন’, সিয়াম-রিজানের ‘নিউ ইন ঢাকা’, ইস্রাফিল এ হিমেলের ‘নিউ ইন গাজীপুর’, রাফিদ দেওয়ানের ‘লোকাল স্যালুন’, ম্যাক-কিবরিয়ার ‘পকেট খালি’, আলি হাসানের ‘বাকি বাট্টা’, কাব্যর ‘তুফান’সহ বেশ কিছু গান শ্রোতাদের মনোযোগ কেড়েছে। শুধু তাই নয়; ‘ভবের পাগল’, ‘মুড়ির টিন’সহ আরও কিছু ফিউশনধর্মী আয়োজনেও র্যাপের ব্যবহার প্রশংসা কুড়িয়েছে।
একটু পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, এ দেশে প্রথম র্যাপ অ্যালবাম প্রকাশ পায় ১৯৯৩ সালে। অ্যাপাচি ইন্ডিয়ানের গানের অনুকরণে ‘ত্রিরত্নের ক্ষ্যাপা’ নামে সেই অ্যালবামের শিল্পী ও সংগীতায়োজনে ছিলেন পার্থ বড়ুয়া, আশরাফ বাবু ও আজম বাবু। অ্যালবামটি দেশজুড়ে আলোড়ন তোলার পর একে একে প্রকাশ পায় ‘বায়ুচড়া’, ‘হযবরল’, ‘শুনছেন নাকি খবরটা’, ‘নয়ছয়’, ‘উন্মাদ কাছে আয়’, ‘গ্যাস্ট্রিক’, ‘ডিনামাইট’, ‘হুলুস্থুল’সহ বেশ কিছু অ্যালবাম। র্যাপ গানের জন্য আলাদা করে জনপ্রিয়তা পান পার্থ, আশরাফ বাবু, চারু, পলাশ, অনিমাসহ কয়েকজন শিল্পী। কিন্তু একুশ শতকের প্রথম ভাগে এসেই র্যাপ গানের কদর প্রায় ফুরিয়ে যায়। এরপর গত তিন বছরে ক্রমে বাড়তে থাকে র্যাপ গানের কদর।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়