আমিনবাজারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলার আসামিরা আদালতে

সাভারের আমিনবাজারে ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে ৬ ছাত্র হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহানের আদালত সাভারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এ মামলায় মোট আসামি ৬০ জন। এর মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৫৭ জন। গত ২১ নভেম্বর ৪০ জনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ১ জন আসামি জামিনে আছেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।’

এর আগে গত ২২ নভেম্বর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ (২ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচরে ঘুরতে যান ৭ বন্ধু। ডাকাত সন্দেহে তাদের মধ্যে ছয় জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ডাকাতির অভিযোগে আহত আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডাকাতির মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। আর পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।

নিহতরা ছাত্ররা হলেন—ধানমন্ডি ম্যাপল লিফের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত।

এ ঘটনায় নিহতদের বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও বেঁচে যান। ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি তদন্ত শেষে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ২০১৩ সালের ৮ জুলাই আদালত ৬০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন।

বিচার চলাকালে মামলায় ৫৫ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ঘটনার পর এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে ১৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
এই বিভাগের আরও খবর
শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় হাসান আরিফকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে শেষ বিদায়

শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় হাসান আরিফকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে শেষ বিদায়

নয়া দিগন্ত
জিএম সিরাজ / ‘হিন্দু-মুসলমানের বিভক্তি তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ’

জিএম সিরাজ / ‘হিন্দু-মুসলমানের বিভক্তি তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ’

মানবজমিন
ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান

যুগান্তর
নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে চায় ইসি

নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে চায় ইসি

বণিক বার্তা
দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন

জনকণ্ঠ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ইইউর ২৮ রাষ্ট্রদূত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ইইউর ২৮ রাষ্ট্রদূত

কালের কণ্ঠ
ট্রেন্ডিং
  • বাশার আল-আসাদের পতনের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়া কে এই জোলানি

  • আমরা এক ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছি: প্রধান বিচারপতি

  • প্রাথমিকে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে 'বস্তায় বস্তায় ঘুষ' নেওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু

  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯