বিএনপির রাজনীতিতে তরুণ নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় খোকাপুত্র ইশরাক হোসেন এখন অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। মির্জা আব্বাস এবং প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার পুরনো দ্বদ্বের প্রভাবে এবার মহানগর কমিটিতে কাক্সিক্ষত পদ পাননি তিনি। এই অভিমানে বিএনপির এই নেতা যে কোনো সময় রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছে দলটিতে।
সূত্র জানায়, গত ২ আগস্ট ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণার পরের দিনই নতুন কমিটিতে প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে আমেরিকায় চলে যান ইশরাক হোসেন। সেখান থেকে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। নতুন কমিটিতে ‘কো-অপ্ট’ করে তাকে প্রত্যাশিত পদ দেয়ার ব্যাপারে বলবেন। তা না হলেও নতুন কমিটিতে অন্তত তাকে যাতে সাইনিং পাওয়ার দেয়া হয় সে বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ জানাবেন তিনি। এ বিষয়ে পজেটিভ ফলাফল না পেলে স্বেচ্ছায় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেবেন বলে ইশরাকের ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির প্রয়াত নেতা অবিভক্ত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন দলটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য। সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনের পরেই তার দৃঢ় ও সাহসিকতার কারণে মাঠের রাজনীতিতে সবার নজরে আসেন। বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে তিনি পুলিশি ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সবার আগে গিয়ে উপস্থিত হন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির এক কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠির মার খেয়েও নিজ দলের কর্মীকে জাপটে ধরে নিরাপদে নিয়ে যান ইশরাক। এ ছাড়াও করোনা শুরুর পর থেকেই নিজে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি নিজে গিয়ে ত্রাণসামগী পৌঁছে দিয়ে আসেন। তার এসব কাজে খুশি হয়ে মাঠের নেতাকর্মীরা মহানগর কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে তাকে দেখতে চান।
একটা সময় ইশরাক নিজেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বা সদস্য সচিব হওয়ার জন্য তারেক রহমানসহ নানা মাধ্যমে লবিং করতে থাকেন। কিন্তু বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ইশরাককে সদস্য সচিব পদ না দিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে উল্টা তদবির করেন। মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যুক্ত হন আরেক নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তারেক রহমানকে তারা বোঝান- ইশরাক বেপরোয়া, সে দলের নির্দেশনা না মেনে নিজের মতো কাজ করে। মহানগরের বড় পদে তাকে আনা হলে আগামী আন্দোলন কর্মসূচিতে সিনিয়রদের নির্দেশনার গুরুত্ব থাকবে না। আব্বাস-গয়েশ্বরের কথার পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমান ইশরাককে বোঝানোর চেষ্টা করেন কমিটির ১ নম্বর সদস্য পদ দেয়া হলেও তাকে ‘সাইনিং পাওয়ার’ দেয়া হবে। কিন্তু ইশরাক কমিটিতে দুধভাত নয়, সদস্য সচিব পদই চান-এমন কথায় অসন্তুষ্ট হন তারেক রহমান।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়