নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও ব্যক্তিপর্যায় থেকে প্রস্তাব করা ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশিত হয়।
তালিকায় আছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এছাড়া সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তিন উপদেষ্টা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এম সাখাওয়াত হোসেন ও ছহুল হোসাইনের নামও আছে এতে। আরো আছে সেনাবাহিনীর সাবেক এক প্রধানের নাম। তিনজন সাংবাদিকের নাম রয়েছে এ তালিকায়।
প্রকাশিত তালিকায় নাম রয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ইকরাম আহমেদ, ড. মোহাম্মদ সাদিকের। এছাড়া রয়েছেন শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ।
সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, মোহাম্মদ শফিউল আলম, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূইয়া, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, ছহুল হোসাইন, মোহাম্মদ আবদুল করিম, অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান রয়েছেন এ তালিকায়।
তালিকায় নাম রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. সুফিয়া রহমান, সুলতানা কামাল, পিএসসির সাবেক সদস্য ড. আনোয়ারা বেগম ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের।
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে নাম প্রস্তাব করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সার্চ কমিটি। এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠানোর সুযোগ ছিল। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নাম পাঠানোর সুযোগ ছিল। পরে দুদিন বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসা পরামর্শের ভিত্তিতে গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবার নাম পাঠানোর সুযোগ দেয়া হয়। তবে যে কারণে এ বাড়তি সময় দেয়া হয়, সেটি সফল হয়নি। বিএনপি বর্ধিত সময়েও কোনো নাম প্রস্তাব করেনি।
সার্চ কমিটিকে নাম সুপারিশের জন্য সময় দেয়া হয়েছে ১৫ কার্যদিবস। সেই হিসেবে তাদের হাতে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও ব্যক্তিপর্যায় থেকে আসা প্রস্তাবের বাইরে ইসি গঠনে সার্চ কমিটি নিজেরাও যোগ্য ব্যক্তি বাছাই করতে পারবে। সব নামের মধ্য থেকে ১০ জনের নাম বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে সার্চ কমিটি। সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ইসি গঠনে রাজনৈতিক দল থেকে এসেছে ১৩৬ জনের নাম। পেশাজীবী সংগঠন দিয়েছে ৪০টি নাম। ই-মেইলে এসেছে ৯৯ জনের নাম আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রস্তাব করেছেন ৩৪ জন। এছাড়া বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়ও অন্তত ২০ জনের নাম পাওয়া গেছে।
এর আগেও দুটি নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটি গঠন করে করা হয়েছিল। এ কমিটি রাষ্ট্রপতিকে নাম সুপারিশ করার পর ২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ ও ২০১৭ সালে কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সে সময় সার্চ কমিটির কাছে জমা পড়া কোনো নাম প্রকাশ করা না হলেও গত শনিবার বিশিষ্টজনরা সার্চ কমিটিকে এবার জমা পড়া নাম প্রকাশ করার প্রস্তাব দেন। পরের দিন কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তারা জমা পড়া নাম প্রকাশ করবেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়