কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি দুই কূল উপচে সাতটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে নদীতীরবর্তী সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত এলাকায় শুকনা খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদিপশুর খাবার সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়াও কৃষকের কাঁচামরিচ, ঝিঙ্গা, পটলসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে অনেকের পুকুরের মাছ।
শনিবার (১৫ জুলাই ) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নতুন করে কোনো গ্রাম প্লাবিত না হলেও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ।
কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা, কাজিয়ারচর, চরপাড়া, নামাচর, চর উত্তর তিলাই ও শালজোড় তিলাই ইউনিয়নের ঢাকাইয়া পাড়া, বটতলা, বয়জুল্লারচর ও খোঁচাবাড়ি সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয় ছড়ার পাড়, মাঝিপাড়া ও নলেয়া চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর, হুচারবালা, পাইকেরছড়া ইউনিয়ের পাইকেরছড়া, আসামপাড়া, ঢাকায়াপাড়া, মাওলানপাড়া, নামাপাড়া, পাইকডাঙ্গা, ছিটপাইকেরছড়া, গছিডাঙ্গা ও বেলদহ গ্রাম, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ডারারপার, সাতকুড়ার পাড়, দক্ষিণ বারুইটারি, মধ্য বারুইটারি, হেলোডাঙ্গা, দক্ষিণপাড়া, কানিপাড়া, পূর্বপাড়, পশ্চিম পাড়, চাঁদনি বাজার, একতা বাজার, নামচর গ্রাম, বলদিয়া ইউনিয়নের সুতিপুরি ও উত্তর বলদিয়া গ্রাম তলিয়ে গেছে। এতে ২০ হাজারেরও অধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়