রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় এরা মারা যান।
এদের মধ্যে করোনায় ৬ জন, উপসর্গ নিয়ে ১১ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন দুজন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১ জুলাই ২২ জন, ২ জুলাই ১৭ জন, ৩ জুলাই ১৩ জন, ৪ জুলাই ১২ জন, ৫ জুলাই ১৮ জন, ৬ জুলাই ১৯ জন, ৭ জুলাই ২০ জন, ৮ জুলাই ১৮ জন, ৯ জুলাই ১৮ জন এবং ১০ জুলাই ১৪ জন মারা গেছে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে।
গত ২৯ জুন করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ ২৫ জন মারা যান। করোনা সংক্রমণ শনাক্তের পর হাসপাতালে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
হাসপাতাল পরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৯ জন মারা গেছেন এদের মধ্যে ৯ জনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া নাটোরের ৬ জন, নওগাঁর দুজন, পাবনা, এবং কুষ্টিয়া জেলার একজন করে মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা। সর্বোচ্চ ৩ জন করে মারা গেছেন রামেক হাসপাতালের ১, ১৬, ১৭ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে এবং ৩, ১৫ ও ৩৯/৪০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
একদিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন রাজশাহীর তিনজন, নওগাঁর একজন, নাটোরের একজন, এবং পাবনার একজন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে রাজশাহীর ৬ জন, নাটোরের তিনজন, নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার একজন। করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় যে দুজন মারা গেছেন তারা দুজনই নাটোর জেলার বাসিন্দা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়