নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথমদিন থেকেই উজ্জ্বল বাংলাদেশ। কথায় আছে, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। অপেক্ষা এখন শেষ ভালোর।
প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। মূলত এবাদত হোসেনের বোলিং তোপে চালকের আসনে অতিথিরা। টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে কিউইদের সংগ্রহ ৬৩ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৪৭ রান। স্বাগতিকরা এ পর্যন্ত লিড পেয়েছে ১৭ রানের। শেষ দিন বাকি পাঁচ উইকেটে কত রান যোগ করতে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষায়। ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন অভিজ্ঞ ব্যাটাসম্যান রস টেলর । ৬ রানে ক্রিজে আছেন রাচিন রবীন্দ্র। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের চারটি উইকেটই নিয়েছেন এবাদত। একটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
এর আগে আজ চতুর্থ দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫৮ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। আগের দিন অপরাজিত থাকা ইয়াসির আলী রাব্বি আজ ফেরেন ব্যক্তিগত ২৬ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৭ রান করে আউট হলে আর কেউ বেশি রান পাননি। তার আগে মিরাজ স্পর্শ করেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারে ১ হাজার রান। কিউইদের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট চারটি, নিল ওয়াগনার তিনটি ও টিম সাউদি দুটি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৩২৮ রান। ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তারা। দ্বিতীয় সেশনে দুই ওপেনার ৮ ওভার পার করে দিয়েছিলেন। কিন্তু নবম ওভারে টম লাথামের উইকেট তুলে নেন তাসকিন। টানা দুই ইনিংসে ব্যর্থ লাথাম ফিরেছেন ১৪ রান করে। তবে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে ও হাফসেঞ্চুরিয়ান উইল ইয়ং। বেশি দূর যেতে পারেনি এই জুটি। গতির ঝড় তুলে কনওয়েকে সাজঘরে পাঠান এবাদত। টানা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েরই পুরস্কার পেয়েছেন এই পেসার। কনওয়ের ব্যাট-প্যাড হয়ে বল জমা পড়েছিল সাদমান ইসলামের হাতে। শুরুতে অনফিল্ড আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। পরে দেখা যায় বল ব্যাটে লেগেছিল কনওয়ের। ৪০ বল খেলা কনওয়ে ফেরেন ১৩ রান করে। পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে ইয়ং ক্যাচ দেন লিটনকে। কিন্তু বাংলাদেশের উইকেটকিপার গ্লাভসে জমাতে পারেননি বল।
এরপর শুরু হয় রিভিউ নষ্ট করার খেলা। চা পানের বিরতিতে যাওয়ার আগের ওভারে দ্বিতীয় রিভিউ নষ্ট করে বাংলাদেশ। এবাদতের বল টেলরের ব্যাটে লেগেছিল ভেবে রিভিউ নেন মুমিনুল। পরে দেখা বল ব্যাটেই লাগেনি। তৃতীয় ও শেষ রিভিউটি নষ্ট হয় তৃতীয় সেশনে। ৩৭তম ওভারে তাসকিনের ইয়র্কার লেংথের বল ব্লক করেছিলেন টেলর। পায়ে লাগছে ভেবে অযথা রিভিউ নিয়ে সেটি নষ্ট করে বাংলাদেশ।
এদিকে বাংলাদেশের অস্বস্তি বাড়াচ্ছিলেন ইয়ং। হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে সামনে পথ বাড়াচ্ছিলেন কিউই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত তার প্রতিরোধ ভাঙে এবাদতের বলে। বোল্ড করে তাকে প্যাভিলিয়ানে ফেরান এই পেসার। যাওয়ার আগে ১৭২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন ইয়ং।
ক্রিজে আসা হেনরি নিকোলস প্রথম বলেই ফিরতে পারতেন। সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরের বলে আর রক্ষা হয়নি। গর্জে ওঠা এবাদতের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে রানের খাতা খোলার আগেই। ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় কিউইরা।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়