সৌদি আরবসহ অন্যান্য জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশগুলো বাজার থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এতে প্রায় অলস পড়ে থাকছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সুপারট্যাংকার। আর শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলে এসব জাহাজের পরিত্যক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কভিডের কারণে উদ্ভূত এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পে সুদিনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আন্তর্জাতিক সূত্রগুলো বলছে, বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ সুপারট্যাংকারের বাণিজ্য বলতে গেলে ধসিয়ে দিয়েছে। এ সুপারট্যাংকারগুলোই বৈশ্বিক তেল সরবরাহের এক-পঞ্চমাংশ বহন করে। এ সুযোগেই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে জাহাজ ভাঙা শিল্পের বাণিজ্যে সুদিন আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সুপারট্যাংকার ফ্লিটের মালিক ইউরোন্যাভ এনভির বিনিয়োগ সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ব্রায়ান গ্যালাঘার বলেন, ‘এখন বেশকিছু বিষয় এমনভাবে ট্যাংকার মালিক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে হাজির হয়েছে, যা কল্পনাতীত। আপনি যদি বিদ্যমান মূল্যে স্ক্র্যাপ বেচতে পারেন তাহলে সেটি খুবই লোভনীয় ব্যাপার। বিশেষ করে পুরানো ট্যাংকারের মালিকদের জন্য এটি এক হাওয়া বদলের মতো বিষয়।’
ট্যাংকার কোম্পানির নির্বাহীরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জাহাজ ভাঙা শিল্পের স্ক্র্যাপইয়ার্ডগুলোয় আরো বেশি পরিমাণে ট্যাংকার আমদানি হতে পারে। বিশ্বের বৃহত্তম শিপব্রোকার কোম্পানি ক্লারকসন রিসার্চ সার্ভিসেস লিমিটেড ধারণা করছে, চলতি বছর প্রায় ২ শতাংশ ট্যাংকার স্ক্র্যাপ করা হবে। গত দুই বছরের তুলনায় এটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতিতে ১৫ বছরের বেশি বয়সী সুপারট্যাংকারগুলোর এশিয়ার উপকূলে জাহাজ ভাঙা শিল্পের স্ক্র্যাপইয়ার্ডে স্থান হবে বলেই ধরে নেয়া যায়।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়