করোনার ৯ মাসে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া প্রায় সব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানেই বই ছাপার কাজ বন্ধ রয়েছে। যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তারাও অনেকটা বিনামূল্যে বই ছাপাচ্ছে। তাছাড়া করোনার কারণে দেশের মোট ৩০ হাজার লাইব্রেরিতে বই বিক্রি ব্যাপকভাবে কমেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় এই সময়ের মধ্যে বই বিক্রি হতো প্রায় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার। সেখানে করোনার ৯ মাসে মাত্র ৭২০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে ৯ মাসে ৬ হাজার ৪৮০ কোটি টাকার বই বিক্রি কমেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশনা সংস্থা টিকিয়ে রাখতে ৮০ শতাংশ জনবলকে বিনা বেতনে ছুটি দেওয়া হয়েছে। প্রকাশনা সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর বাংলাবাজার বইয়ের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, অর্ধেকের বেশি বইয়ের দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই দিনের বেশিরভাগ সময়। দুই-একটি দোকানে হঠাৎ ক্রেতা দেখা যায়, বেশিরভাগ সময় দোকানদাররা অবসর কাটান। ওই এলাকার ফুটপাতের বইয়ের দোকানিদেরও মোবাইল ফোনে সময় কাটাতে দেখা গেছে।
লাইব্রেরি ও মুদ্রণ সংস্থার মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার সময় লকডাউনে বইয়ের দোকানও বন্ধ ছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সব ধরনের বই বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সামান্য হলেও বেচাকেনা শুরু হয়েছে। শীতে করোনা বাড়লে যে সামান্য বিক্রি হচ্ছিল তাও বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, ‘করোনার আগে স্বাভাবিক সময়ে দেশের ৩০ হাজার লাইব্রেরিতে প্রতিদিন গড়ে বই বিক্রি হতো ৩০ কোটি টাকার। এই হিসাবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে এই সময়ে বই বিক্রি হতো ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার। কিন্তু এই সময়ে বিক্রি হয়েছে ৭২০ কোটি টাকার বই। অর্থাৎ স্বাভাবিকের তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ বই বিক্রি হয়েছে। এই সময়ে ৬ হাজার ৪৮০ কোটি টাকার বই বিক্রি কমেছে।’
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়