করোনারভাইরাস রোধে সরকারি বিধি-নিষেধের ফলে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না পুরুষরা। তাই সংসার চালাতে মরিচ তোলার কাজ করছেন বগলী, অলিফা, রুনা ও রিনা দাসের মতো সংগ্রামী নারীরা।
শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ঘনিমহেষপুর (কুড়ালি) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রখর রোদে পাকা মরিচ তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারীরা। রোদের মধ্যে পাকা মরিচ কে বেশি তোলতে পারে সেই প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত তারা।
মরিচ তোলার ফাঁকে কথা হয় রুনা বেগমের (৩০) সাথে। তিনি জানান, বাসে হেলপারের কাজ করেন তার স্বামী আকবর আলী। লকডাউনের কারণে বাস চলাচল বন্ধ। তাই বাড়িতে আছেন তিনি। কিন্তু সংসারে রোজগার করার মতো উপযুক্ত আর কেউ নেই। তাই সংসারের হাল ধরতে খালার সাথে মরিচ তোলার কাজে আসছি। ৩শ’ টাকার মতো পাই। তা দিয়ে এখন সংসার চলছে।
তিনি আরো বলেন, গত বছর সরকারসহ বিভিন্ন মানুষ ত্রাণ দিলেও এ বছর ত্রাণের কোনো খবর নেই। এখন সব মরণ আমাদের মতো গরীবদের। ত্রাণের কথা শুনে এগিয়ে আসেন অলিফা বেগম, বগলি বেগম, রিনা দাসসহ অন্যরা। একে একে তাদের সমস্যার কথা বলেন।
বগলি বেগম বলেন, আমার স্বামী ভাড়ায় অটো গাড়ি চালায়। লকডাইনের সময় গাড়ি নিয়ে বাহিরে যেতে দেইনি। এরপর থেকে তিনি বাড়িতেই। এখন বুড়া স্বামী অন্যকোনো কাজও করতে পারে না। তাই দু’বেলা খাবার জোগাড় করতে মরিচ তোলতে আসছি। তিনি আরো বলেন, রোদের মধ্যে মরিচ তুলতে অনেক কষ্ট হয়। এছাড়া মরিচের ঝাঁজে নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে। তারপরও নগদ টাকা পেলে ভালোই লাগে। রিনা দাস (৩৫) কাঁশতে কাঁশতে সামনে আসেন।
তিনি বলেন, মরিচের তোলার কাজ করলে হাত-মুখ জ্বালা করে। হাঁচি-কাঁশি তো আছেই। তারপরও করতে হয়। এছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। লকডাউনে কৃষি কাজ ছাড়া অন্যসব কাজ বন্ধ রয়েছে। গত ১৫দিন যাবত মরিচ তোলার কাজ করতেছি। প্রথম দিকে আরো কষ্ট হতো এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়