দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের সকল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং এর শিক্ষকদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ‘ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একনেকের সভায় প্রকল্পটির ‘৩য় সংশোধনী’ প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। নতুন প্রস্তাবে প্রকল্পটির ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় কমিয়ে ৯৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাস্তবায়নকাল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) আওতায় দেশের ৬৪টি জেলায় মোট ৭০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এছাড়াও নতুন করে আরও ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চলমান। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে এতগুলো কারিগরি প্রতিষ্ঠান থাকলেও এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে কোনও ইনস্টিটিউট নেই। তাই কারিগরি শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধিকল্পে এবং কারিগরি প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতেই সরকার কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা-উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০১৬ সালে ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ৩১ জুনের মধ্যেই প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়িত হবে। চূড়ান্ত প্রস্তাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৯৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩১ কোটি ৫১ লাখ টাকা, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে প্রকল্প সহায়তা বাবদ পাওয়া যাবে ৬৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
গত ২০১৬ সালে নেওয়া প্রকল্পটির তৃতীয় দফায় সংশোধনীর বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি খাতে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ ২ কোটি ২১ লাখ টাকা সমন্বয় করে মোট ১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্রয় পদ্ধতি পরিবর্তন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার হালনাগাদ করার ফলে প্রকল্পের ব্যয় কমেছে। এছাড়াও আইএসডিবি’র কারিকুলামের সঙ্গে সমন্বয় করে অন্যান্য মেশিনারি ও যন্ত্রপাতি এবং বইপত্র ও সাময়িকী অংশের সমন্বয় ও সংশোধন করা হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রশাসনিক ভবন, পুরুষ ডরমিটরি ভবন, মহিলা ডরমিটরি ভবন, কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন, কর্মচারীদের আবাসিক ভবন এবং অন্যান্য পূর্ত নির্মাণ কাজ (সাবস্টেশন, জেনারেটর ভবন, পাম্প হাউস, ভবনসমূহের লিফট ইত্যাদি) নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়াও মাইক্রোবাস, আসবাবপত্র, বইপত্র ও সাময়িকী, ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনা হবে।
প্রকল্পটি চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বিনিয়োগ প্রকল্প তালিকায় ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত আছে। সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গেও প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
কমিশন বলেছে, সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কারিগরি শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধিকল্পে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও কর্মকালীন প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। প্রকল্পটি কারিগরি প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও, এসডিজি অভীষ্ট ৮.০ অনুযায়ী ‘সকলের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং শোভন কর্মসুযোগ সৃষ্টি এবং স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন’ লক্ষ্যের সঙ্গে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়