মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় কোরবানির গরু পালনে অঘোষিত প্রতিযোগিতা দীর্ঘদিনের। রাজাবাবু, সম্রাট, সিনবাদ, কালাচাঁদ, ডন— এসব আজব নামে কোরবানির গরু পত্রপত্রিকায় এবং ফেসবুকে ভাইরাল কবছর ধরেই। এ বছর এমনই এক আকর্ষণ সাটুরিয়ার নোমাজ আলীর ২৮ মণের গরু নাম ‘সাহেব’।
মুখমণ্ডল কালো শরীরে সাদা চক্কর, উঁচু চূড়া, ঝুলে থাকা গলাকম্বল প্রায় মাটি ছুঁই ছুঁই করছে। মাথায় লম্বা শিং, শান্ত স্বভাবের। খাওয়া আর চলনবলনে নাম রাখেন ‘সাহেব’। কেউ কেউ ৪০-৪২ মণ প্রচার করলেও ২৮ মণ ওজনের সত্যতা স্বীকার করেন সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
ঝুঁকি নিয়েও ব্যয়বহুল এ গরু পালন করেছেন উপজেলার হরগজ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের নোমাজ আলী।
সৌখিন ক্রেতার অপেক্ষায় আছেন তিনি। দেশের সবচেয়ে বৃহৎ গরু দাবি মালিকের।
জানা গেছে, নোমাজ আলীর নিজের পালে জন্ম চার বছর বয়সি (হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতে) ষাঁড় গরুটি দেশি খাদ্য দিয়ে লালন-পালন করেছেন। গত বছর ঈদে ওজন ছিল ১৬-১৭ মণ, করোনার প্রভাবে উপযুক্ত দাম না পেয়ে বিক্রি হয়নি। বাধ্য হয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে লালন-পালন করেছেন সাহেবকে।
সাহেবের থাকার ঘরটাও বেশ রাজকীয়। মেঝে সম্পূর্ণ পাকা, পায়ের নিচে ফ্লোরে প্লাস্টিক কার্পেট এবং গরম থেকে সুরক্ষার জন্য মাথার ওপরে ঝুলছে সিলিংফ্যান। ২৪ ঘণ্টায় একাধিকবার গোসল দিতে হয় সাহেবকে। খাবারে রয়েছে ব্যয়বহুল তালিকা— ১০ কেজি গমের ভুসি, দুই কেজি মালটা, ৩-৪ ডজন কলা, এক কেজি গুড়, ভুট্টা ভাঙা, ছোলা ভাঙা, মিষ্টি কুমড়া, লেবু, ধানের খড় এবং কাঁচাঘাস। ফলমূলসহ ব্যয় প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার টাকা।
গরুর মালিক নোমাজ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, পরিবারের সদস্যের মতো আদরে বড় করেছি সাহেবকে। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাব, বন্যা আর গরমের মাত্রা বেড়ে যাওয়াই দুশ্চিন্তার কারণ। আবার উপযুক্ত দাম পাব কিনা তাও চিন্তায় আছি। আপাতত ২৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়