রাজধানীর হাটগুলোতে আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে পশু বেচা-কেনা। প্রথম দিন হাটগুলোতে ক্রেতা উপস্থিতি কম দেখা গেছে। যারা হাটে এসেছেন তাদের বেশিরভাগ ঘুরে দেখছেন। শেষ দিকে কিনবেন বলে জানিয়েছেন তারা। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বনশ্রীর মেরাদিয়া হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এর মধ্যেও প্রথম দিনই গরু কিনেছেন অনেকে। তাদের ভাষ্য, চড়া দামের বিক্রির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ বছরের কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতা না থাকলেও বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। তারাও বাজার বোঝার জন্য বেশি দাম হাঁকছেন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর হাটগুলোর প্রথম দিন আজ। যদিও এসব হাটে আগেই বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। ওই সময়ও গরুর দাম ছিল চড়া।
হাটে বেশকিছু ব্যাপারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর রাজধানীর পশুর বাজার চড়া দাম নিয়ে শুরু হয়েছে। কারণ প্রায় সব হাটে পশু আমদানির সংখ্যা গত বছরগুলোর চেয়ে অনেক কম। যদিও হাটের ইজারাদাররা বলছেন, পশুর সংখ্যা কমেনি। বরং করোনা পরিস্থিতির তুলনায় হাটে পর্যাপ্ত পশু আমদানি হয়েছে।
মেরাদিয়া হাটের ২ নম্বর হাসিল ঘরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সওগাত হোসেন বলেন, ‘এ হাটে পাঁচ হাজারের বেশি গরু ও আড়াই থেকে তিন হাজার ছাগল তোলা হয়েছে, যা গত বছরের থেকে বেশি। গত বছর হাটে পশু কম ছিল।’
প্রথম দিনের বিক্রি নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুপুর পর্যন্ত এ ঘরে ২২টি গরু হাসিল হয়েছে। সব মিলে এ হাটে হাসিল ঘর আটটি।’
সওগাত হোসেন বলেন, ‘রাজধানীর বাড়িগুলোতে সবার পশু রাখার জায়গা নেই। এ জন্য ঈদের দুদিন আগে হাট জমে।’
এদিকে কিছু ব্যাপারী শঙ্কা জানিয়ে বলেন, করোনার কারণে ক্রেতা উপস্থিতি তুলনামূলক কম। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে দাম নেমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লোকসানের শঙ্কা রয়েছে তাদের।
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ব্যাপারী মোকছেদ মিয়া বলেন, ‘প্রথম দিন ক্রেতাই নেই। ২৬টি গরু এনেছি। সকাল থেকে চারজন দাম বলেছে চারটি গরুর। তাও যে দাম চাই তার অর্ধেক বলে। বিক্রি তো দূরের কথা।’
এদিকে ক্রেতারা যারা হাটে গরু কিনেছেন, তারাও বেশি দামের কথা বলছেন। জামাল শেখ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বেচাকেনা পুরোপুরি শুরু হয়নি। কিন্তু এখন যে দাম চাওয়া হচ্ছে, তা গত বছরের তুলনায় বেশি। বিক্রেতারাও বাজার বোঝার চেষ্টা করছেন।’
এদিকে অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা বাজার যাচাই করতে এসেছেন। ফরিদ উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বাসায় গরু রাখার জায়গা নেই। তাই শেষ দিন কিনবো। এখন একটু বাজার দেখছি। শেষে এর চেয়ে দাম কমবে বলে মনে হচ্ছে।
যশোর থেকে ১০টি গরু এনেছেন এক ব্যাপারী। তার প্রতিটি গরুর দাম ২ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত। যেগুলো তিনি গ্রামের বাজার থেকে কিনে এনেছেন। বাজার কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবার দাম চড়া হবে। গ্রামগঞ্জে সস্তায় গরু কেনা যায়নি। একটি গরু ইতোমধ্যে বিক্রি করেছি। দাম ভালো পেয়েছি। এমন বাজার থাকলে ব্যাপারীদের লাভ হবে।’
এদিকে করোনা মহামারির মধ্যে ঈদুল আজহায় অনলাইনের পাশাপাশি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুর হাট বসানোসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সেসব বিষয়ে উদাসীনতা রয়েছে।
পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকা অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বহির্গমন পথ পৃথক করার কথা থাকলেও তেমন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। বেশিভাগ ব্যাপরীর মুখে মাস্ক নেই। হাটের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকলেও দু-একজন ছাড়া সবাই হাত না ধুয়েই প্রবেশ করছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়