খরার পরও লিচুর ফলনে চাষির হাসি

প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ সময়ে বাজারে আসে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বিখ্যাত লিচু। এবারও ব্যতিক্রম নয়। চাষিরা বলছেন, অতিরিক্ত খরার কারণে চলতি মৌসুমে সময়ের আগেই লিচু পেকেছে। যে কারণে আকার তুলনামূলক ছোট হয়েছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় এবার লাভের মুখ দেখার আশা করছেন তাঁরা।

উপজেলার পানাম গাবতলী গ্রামের লিচু চাষি আব্দুল ওহাব মিয়া গতকাল শুক্রবার বলেন, এ বছর অতিরিক্ত খরার কারণে লিচুর প্রচুর পরিমাণ মুকুল নষ্ট হয়েছে। তবে দু-একদিন বৃষ্টি হওয়ায় আগের বছরের তুলনায় ভালো ফলন হয়েছে। যে কারণে বেশি দামে তিনি বাগান বিক্রি করেছেন।

মুকুল দেখেই চাষিদের কাছ থেকে লিচু বাগান চুক্তিতে কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। নয়ামাটি গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, তাঁদের ব্যবসা পুরোপুরি ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বছর লিচুর দাম তুলনামূলকভাবে ভালো। কৃষকরাও অন্যান্য বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

চাষিরা জানিয়েছেন, উপজেলার ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক বাগান রয়েছে। সাধারণত কদমী, মোজাফফরপুরী, চায়না-৩, এলাচি, পাতি– এ পাঁচ ধরনের লিচুর চাষই বেশি হয়। তবে আকারে বড় ও বেশি রসালো হওয়ায় কদমী জাতের লিচু চাষে আগ্রহ বেশি চাষিদের। এবার প্রতি ১০০ কদমী লিচু ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি ১০০ পাতি লিচুর বর্তমান বাজারদর ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।

জানা গেছে, মোটামুটি মানের একটি বাগানের লিচু বছরের চার থেকে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করা যায়। যে কারণে অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে অনেকেই লিচু চাষে ঝুঁকছেন। সোনারগাঁ পৌরসভা, বৈদ্যেরবাজার, মোগরাপাড়া, বারদী, সনমান্দি ও সাদিপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে লিচু বাগানের সংখ্যা বেশি। তবে পৌর এলাকার সর্দারবাড়ী, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, বাড়িমজলিশ, দিঘিরপাড়, পানাম, অর্জুন্দি, বাগমুছা, দত্তপাড়া, ইছাপাড়া, কৃষ্ণপুরা, হাড়িয়া, সাহাপুর, পানাম গাবতলী, ষোলপাড়া, ভট্টপুর এলাকায় উৎপাদিত লিচুর মান উৎকৃষ্ট বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

গাবতলী গ্রামের তাইজুল ইসলাম ও তাঁর পাঁচ ভাইয়ের ছয়টি লিচু বাগান রয়েছে। তাইজুল বলেন, শৈশব থেকেই লিচু চাষ করছেন। তাঁর ২ বিঘা জমির বাগানে ৬৫টি লিচুগাছ রয়েছে। তাঁর ভাষ্য, এ বছর বেশি গরম পড়ায় লিচু আগে পেকে গেছে। তবে আকারে তেমন বড় হয়নি।

প্রতি মৌসুমে তাঁর বাগানের লিচু সবার আগে বাজারে যায় জানিয়ে তাইজুল বলেন, এবার লিচু আকারে ছোট হলেও আশা করছেন আগের ২ বছরের তুলনায় ভালো দাম পাবেন।

অন্য বাগান মালিক আলী হোসেনের আশা ছিল, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার লিচুতে বেশি লাভবান হবেন। তবে আকারে ছোট হওয়ার দাম বেশি পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত তিনি। সারসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ায় এবার লাভ বেশি না হলে বিকল্প খোঁজারও চিন্তা করছেন।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, অসাধু লিচু চাষিরা অতিরিক্ত খরায় লিচুতে পাকা রং ধরাতে বিষাক্ত ওষুধ ব্যবহার করেছেন। ফলে অপরিপক্ব লিচুতেও পাকা রং ধরে আছে। অল্প সময়ে আকার বড় করতেও অনেকে ক্ষতিকর হরমোন দিচ্ছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করা হবে: ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান

এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করা হবে: ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান

প্রথমআলো
ব্যাংকের ওপর আস্থা কমায় টাকা না রেখে সঞ্চয়পত্র কিনছে মানুষ

ব্যাংকের ওপর আস্থা কমায় টাকা না রেখে সঞ্চয়পত্র কিনছে মানুষ

কালের কণ্ঠ
বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সাথে হওয়া চুক্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সাথে হওয়া চুক্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

নয়া দিগন্ত
প্রাইম ব্যাংক ও সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের মধ্যে চুক্তি সই

প্রাইম ব্যাংক ও সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের মধ্যে চুক্তি সই

বাংলা ট্রিবিউন
ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু

ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু

বাংলা ট্রিবিউন
ভারতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, কেজি উঠেছে ৭০–৮০ রুপিতে

ভারতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, কেজি উঠেছে ৭০–৮০ রুপিতে

প্রথমআলো
ট্রেন্ডিং
  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে 'বস্তায় বস্তায় ঘুষ' নেওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু

  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া