বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি নিয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্যের জবাবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ক্ষমতাসীনরা এখন বলছেন- খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। আমরা বলবো, খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতি কেন, নির্বাচনও করবেন এবং তিনি আগামীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীও হবেন।
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
পরে পদযাত্রা শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায় এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে এই পদযাত্রা ও সমাবেশ হয়।
পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, সরকারের দুঃশাসনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে তাদের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। তারা ব্যস্ত দুর্নীতি ও লুটপাটে। লুটপাটের মাধ্যমে দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এসব টাকা ফেরত আনতে হবে, দুর্নীতির বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার আবারো ২০১৮ সালের মতো একটি প্রহসনের নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। সরকারকে বলবো, ওই ধরনের নির্বাচন করার স্বপ্ন ভুলে যান। দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না, জনগণ এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না।
সরকারের উদ্দেশে ড. ফরহাদ বলেন, 'এখনো সময় আছে। জনগণের দাবি মেনে অবিলম্বে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।'
ড. ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের সঞ্চালনায় পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট দুঃশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। তারা এই মুহূর্তে সরকারের বিদায় চায়। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এদের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
এম এন শাওন সাদেকী বলেন, 'শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারকে বিদায় করে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়