বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, আইনের ৪০১ ধারা অনুযায়ী ও প্রধানমন্ত্রীর মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাস স্থগিত রেখে তাকে বাসা থেকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কারণে তাকে জেলে না রেখে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আইনের কোথাও নেই একজন সাজাপাপ্ত আসামিকে কোনোভাবে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো যায়। আপনারাই বলেন দেশের আইনের বাইরে কোথাও এ ধরনের সুযোগ দিয়ে আইন আছে কিনা? তাই খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া যাচ্ছে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা বার বার একই কথা কেন বলছেন, আমাকে এ ব্যাপারে যতই গালাগাল দেন আমি আইনের বাইরে যাবো না। আইনে যেভাবে বলা আছে আমি সেভাবে চলবো।
এর আগে আজ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাড়িয়ে বগুড়ার বিএনপির সাংসদ গোলাম মোহম্মদ সিরাজ খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করলে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারেন। আজ উনার কিছু হয়ে গেলে আপনাদের ওপর পড়বে। আমরা ছয়জন এমপি আর সংসদে আসতো পারবো না। তাই আমার আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবার অনুমতি দিন।
এসময় আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের অবস্থান এখানে পরিষ্কার। আইনগতভাবে বাইরে যেতে দেয়ার সুযোগ নেই। আপনারা বলেছেন ২০০৭-০৮ সালে প্রধানমন্ত্রীকে মামলা থাকা সত্ত্বেও বিদেশ যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কথাটা সত্য না। যখন তিনি বিদেশ গিয়েছিলেন, তারপরে দেশে আসলে তাকে বাধা দেয়া হয়েছিল। দেশে আসলে তাকে জেলে নেয়া হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কোনো মামলায় সাজা হয়নি।
আ স ম আবদুর রবকে সামরিক আইনে জেল থেকে জার্মানীতে পাঠানো হয়েছিল। তখন সামরিক শাসন ছিল। কোন ধারায় তাকে পাঠানো হয়েছিল আমার জানা নেই।
তাছাড়া খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যেসব কথা বলছেন তা কতটা সত্য? তাকে তো যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ৪০১ ধারায় করা আবেদনে সাজা ৬ মাস মওকুফ করে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আজকে আইনের শাসন যেখানে আছে সেখানে যা ইচ্ছা করা যায় না। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, তাতে তারা কতোটা সন্তুষ্ট আমি জানি না। তবে তাকে যে সাজা মওকুফ করে বাসায় পাঠানো হয়েছে সেটি ৪০১ ধারায় নিষ্পত্তিযোগ্য। এই ধারায় আবেদনকে পূন:বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নেই। এবিষয়ে উনারা যত খুশি গালি দিতে পারেন। আমি আইন মোতাবেক চলবো। আইনের বাইরে যাবো না।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়