আগামীকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয়ীদের হাতে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০’–এর পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার জানা গেল, অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন পূর্ণিমা ও ফেরদৌস। এবার নিয়ে চারবার এ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা।
চতুর্থবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন। কেমন লাগছে?
এ পুরস্কার চলচ্চিত্রশিল্পীদের জন্য বড় স্বীকৃতি। এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকা সৌভাগ্যের ব্যাপার। এবার নিয়ে চারবার অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করা হবে আমার। এর আগে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে একবার, এ নিয়ে ফেরদৌসের সঙ্গে তিনবার মঞ্চে ওঠা হবে। এখনো যে এ অনুষ্ঠানের জন্য আমাকে ডাকা হয়, এটি বড় সম্মানের ব্যাপার।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার জন্য বেশ প্রস্তুতি নিতে হয়, তা–ই না?
অবশ্যই। অনেক সতর্ক থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতে হয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় সম্মানিত ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মতো করে উপস্থাপনা করা যায় না। অন্য করপোরেট অনুষ্ঠানগুলো যেমন স্ক্রিপ্টের বাইরেও নিজের মতো করে দর্শকের সঙ্গে কানেক্ট হওয়া যায়, এখানে সেটি সম্ভব নয়। লিখিত সংলাপের বাইরে কোনো কিছু করা যাবে না। নির্দিষ্ট সময় বাঁধা থাকে। প্রস্তুতি ভালো করে নিতে হয়। আজ রিহার্সাল শুরু করেছি। কালও করব।
ফেরদৌসের সঙ্গে এ অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় আপনার হ্যাটট্রিক হবে। সহশিল্পী হিসেবে ফেরদৌসের সঙ্গে কাজটি কেমন উপভোগ করেন?
ফেরদৌসের সঙ্গে খুব বেশি সিনেমা করা হয়নি আমার। কিন্তু বাস্তবে তার সঙ্গে সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে। শুধু সরকারি এ অনুষ্ঠানই নয়, আমরা করপোরেট অনেক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে আসছি, একসঙ্গে স্টেজে পারফরম্যান্সও করি। ফেরদৌসের সঙ্গে উপস্থাপনা করা আমার জন্য সহজ হয়। কারণ, ওকে আমি বুঝি, সে–ও আমাকে বোঝে। তার সঙ্গে কাজ করতে গেলে মনে জোর থাকে, সাহস থাকে। অন্যদের সঙ্গে স্টেজ ভাগাভাগি করতে কিছুটা আনইজি লাগে।
আপনি নিয়মিত সিনেমা করেন না, কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সমান জনপ্রিয়। রহস্য কী?
ভক্তরা এখনো কেন ভালোবাসেন, তা তো বলতে পারব না। তবে হয়তো ভালো সিনেমা তাঁদের দিতে পেরেছি। এ ছাড়া আমার উপস্থাপনাটাও তাঁরা উপভোগ করছেন। এ কারণে হয়তো আমার প্রতি দর্শকের ভালোবাসাটা এখনো রয়ে গেছে।
গত কয়েক বছরে নতুন করে পূর্ণিমার ‘জন্ম’ হয়েছে, এমনটি বলেন অনেকে। আপনার মতামত কী?
আগে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার কারণে মানুষ একভাবে চিনতেন। মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করার পর তিন–চার বছর ধরে মানুষ আমাকে আরেকভাবে চেনেন। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে সিনেমার গানের সঙ্গে আমার স্টেজ পারফরম্যান্স ও উপস্থাপনাগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখছেন মানুষ। সেগুলো আলোচিত হচ্ছে। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্ত-দর্শকের সঙ্গে নিয়মিতই কানেক্ট থাকি আমি। সব মিলিয়ে বলতে পারেন, গত কয়েক বছরে মানুষের কাছে নতুন জন্ম হয়েছে আমার।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়