যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে আসার পর থেকে প্রতিটি ম্যাচেই টানা গোল পেয়ে আসছিলেন লিওনেল মেসি। সাত ম্যাচে ১০ গোল করে সবাইকে বিস্মিতও করে তুলেছেন তিনি। ইন্টার মিয়ামিকে এই প্রথম কোনো শিরোপার (ক্লাব কাপ) স্বাদ দিলেন তিনি। এবারও আরও একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে তুলে দিলেন মেসি।
ইউএস ওপেন কাপের সেমিফাইনালে সিনসিনাতি ক্লাবের বিপক্ষে এবার গোল পাননি আর্জেন্টাইন তারকা। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে অভিষেকের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে গোলবঞ্চিত হলেন তিনি। তবে, ইন্টার মিয়ামিকে ফাইনালে তোলার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাটি ছিল তারই।
এফসি সিনসিনাতি সঙ্গে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পরও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা ছিল ৩-৩ গোলে সমতা। ইন্টার মিয়ামির তিন গোলের মধ্যে দুটিতেই অবদান ছিল মেসির। তিনি বল বানিয়ে দিয়েছিলেন সতীর্থকে। তারা গোল করেছে। এরপর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ ব্যবধানে এফসি সিনসিনাতিকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে নেয় মেসির দল।
টাইব্রেকারের প্রথম শটটিই নিয়েছিলেন মেসি। অর্থাৎ মূল খেলায় গোল না পেলেও মেসির একটি শট তো অন্তত প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পেলো!
ইন্টার মিয়ামির হয়ে জোড়া গোল করেছেন লিওনার্দো কাম্পানা। অন্য গোলটি করেন জোসেফ মার্টিনেজ। এফসি সিনসিনাতির হয়ে গোল করেন লুসিয়ানো অ্যাকস্তা, ব্র্যান্ডন ভাসকুয়েজ এবং ইয়ুয়া কুবো।
মূলত মেসির কারণেই ম্যাচটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে ইন্টার মিয়ামি। নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট পর্যন্তও ২-১ গোলে এগিয়েছিল সিনসিনাতি। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে মেসি ম্যাজিকে গোল পেয়ে যায় মিয়ামি।
খেলার শেষ বাঁশি বাজতে আর সর্বোচ্চ মিনিট দুয়েক বাকি। ঠিক তখনই বাঁ প্রান্ত থেকে নিখুঁত ক্রস বাড়ালেন মেসি। বলটা বাতাসে ভাসতে ভাসতে ইন্টার মায়ামি ফরোয়ার্ড লিওনার্দো কাম্পানার মাথায় এমনভাবে গিয়ে পড়লো, যেন প্লেটে তুলে দেওয়া গোল! কাম্পানাকে শুধু ঠিকমতো হেডটা করতে হয়েছে। ব্যস, সেই গোলেই সমতায় ফেরে মায়ামি। গোলটা কাম্পানার হলেও এর জন্য মেসির ভূকিমাকেই মনে রাখতে সবাই।
২-২ গোলে সমতা, খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানে দুই দল দিলো আরও একটি করে গোল। ৯৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাশির পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শটে গোল করে মায়ামিকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন জোসেফ মার্তিনেজ।
কিন্তু নাটকীয় এ ম্যাচে শেষ অঙ্কের চিত্রনাট্য তখনো শেষ হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে পরের অর্ধে ১১৪ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বল ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেননি মায়ামির ডিফেন্ডার। সুবিধামতো জায়গায় বল পেয়ে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল করে ম্যাচের স্কোর ৩-৩ করেন সিনসিনাটির জাপানি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইয়ুয়া কুবো।
লুসিয়ানো অ্যাকস্তার ১৮ মিনিটে করা গোলে প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল সিনসিনাতি। ৫৩ মিনিটে ব্রেন্ডন ভাসকুয়েজের গোলে ব্যবধান ২-০ করে ফেলে সিনসিনাতি। মায়ামি এখান থেকে মেসির দুই ‘অ্যাসিস্টে’ ঘুরে দাঁড়ালেও রোমাঞ্চকর এ ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকারে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়