পরামর্শক ও বিদেশ সফর বা ট্যুর বা প্রশিক্ষণ দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজন থাকুক বা না-ই থাকুক, এসব খাত রাখতেই হবে প্রকল্পে। দেশের গ্রামীণ রাস্তাঘাট, কালভার্ট ইত্যাদি অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার বিভাগের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
সেখানে প্রচুর পরিমাণে অভিজ্ঞ প্রকৌশলী থাকার পরও এসব কাজে আলাদভাবে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়। যাদের জন্য কয়েক কোটি টাকাও বরাদ্দ রাখা হয়। আবার এসব প্রকল্প স্ট্যাম্প ও সিল খাতে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। কম্পিউটার কিনতে যা খরচ, তার সমান খরচ হবে মেরামত ও যন্ত্রাংশে। প্রকল্পের এসব ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।
পরিকল্পনা কমিশনে দেয়া স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এই নামের প্রকল্পটি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প নামে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
নতুন প্রস্তাবনায় প্রকল্পটির নাম পরিবর্তনের জন্য বলছে মন্ত্রণালয়। ওই তিন জেলায় ৩৪ উপজেলায় মোট গ্রামীণ সড়কের পরিমাণ হলো ২০ হাজার ৫৮৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন পাকা সড়কের পরিমাণ আট হাজার ৯৪২ কিলোমিটার; যা মোট সড়কের ৪৩.৪৪ শতাংশ।
অবশিষ্ট কাঁচা সড়কের ১১ হাজার ৬৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে এক হাজার ৮১৭ কিলোমিটার বা ১৫.৬০ শতাংশ উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষি বা অকৃষি অর্থনীতির সঞ্চালন করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। ফলে প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নেই করা হবে। সাড়ে চার বছরে বাস্তবায়নে এ প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায়। তবে ২০২০ সালের নভেম্বরে একবার প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে (পিইসি) পর্যালোচনা করে ফেরত পাঠনো হয়।
প্রকল্পের আওতায় কাজগুলো হলো ৩৪.৪৬ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক উন্নয়ন, ১১৮.৯৯ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, এক হাজার ৬৬৩.৬০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন। ১৯টি বা ৪১৬.১ মিটার উপজেলা ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণ, ৩০টি বা ৪৩০.৬৩ মিটার ইউনিয়ন সড়কে ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণ, ১৭২টি বা এক হাজার ৯০১.৫ মিটার গ্রাম সড়কের ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণ, এক হাজার ৪৫৭.৪৭১৫ কিলোমিটার রক্ষাপ্রদ কাজ, প্রায় ৫৬ লাখ ঘনমিটার মাটির কাজ, ২৫৯.১৮ কিলোমিটার সড়ক পুনর্বাসন ও প্রশস্তকরণ, ৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা। বলা হয়েছে এলজিইডির ইন হাউজ চার সদস্যবিশিষ্ট টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে প্রকল্প এলাকা সার্ভে করে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়েছে।
ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রতি কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে উপজেলা পর্যায়ে খরচ প্রায় সোয়া কোটি টাকা, ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকা এবং গ্রাম পর্যায়ে ৯২ লাখ টাকা। যেখানে চলমান প্রকল্পে এই খরচ অনেক কম। এসব কাজ সম্পাদনের জন্য পরামর্শক খাতে খরচ ধরা হয়েছে প্রতি মাসে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টাকা হিসেবে তিন কোটি তিন লাখ টাকা।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়