চীনা ঋণ নিয়ে অনেকেই অহেতুক ভয় দেখাচ্ছে। চীনা ঋণ নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকে বলছেন বাংলাদেশ নাকি শ্রীলংকার মতো চীনা ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। সেটা ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতে ঋণের ফাঁদে পড়তে হলে ৪০ শতাংশ ঋণ নিতে হয়। আমরা ঋণ নিয়েছি মাত্র ১৬ শতাংশ। বেশির ভাগ ঋণ নিই বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে। জাপান থেকেও ঋণ নিয়ে থাকি। চীনা ঋণ এসবের ধারেকাছেও নেই। তিনি বলেন, আমরা নাকি ৮০ শতাংশ সামরিক সরঞ্জাম চীন থেকে কিনছি। যেটা সত্য নয়। আমরা তো সামরিক সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, এমনকি ভারত থেকেও কিনছি। অনেক দেশ থেকেই কিনছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান গুমের তালিকায় যে লোকজনের নাম দিয়েছিল, তাদের অনেকের ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আসল কারণ নয়। বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। তাই অনেক দেশ গুমের প্রসঙ্গটি সামনে এনে চাপ প্রয়োগ করে স্বার্থ হাসিল করতে চায়।
চলতি মাসে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ নয়, জাতিসংঘের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের একটি তালিকা দিয়েছিল। পরে দেখা গেল, অনেক লোকের ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে। বাংলাদেশী একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে জাতিসংঘের কমিটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাদের নিজেদের কোনো গবেষণা নেই। খুবই পক্ষপাতমূলক প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিয়ে জাতিসংঘের কমিটি বলল, বাংলাদেশে অতজন লোক গুম হয়েছে। তারপর কিছু লোকের নাম দিয়েছে। নাম দেয়ার পর দেখা গেল, আমাদের লোকজন দু-একজন ছাড়া ওই তালিকার কাউকেই চেনেন না। আপনারা তাদের নাম জানেন।
সম্প্রতি গুম হওয়া ব্যক্তিদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুম হওয়া লোকজনের বিষয়ে তথ্য নিতে পুলিশ তাদের পরিবারের কাছে দু-একবার গেছে। পুলিশের ধারণা, দিনের বেলায় তারা থাকবেন না, তাই রাতের বেলায় গেছে। তখন তারা অভিযোগ করেছেন যে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। পুলিশ জানতে চায়, তাদের পরিবারের সদস্য কবে, কোথায়, কেন গেছেন, কিছু জানেন কিনা। কারণ, অনেকেই আবার ফেরত চলে আসেন। দু-একদিন এ রকম করার পর তারা অভিযোগ করলেন।
গুমের অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি, গুম হওয়া লোকজনের পরিবারের সদস্যদের একটি আলোচনায় রাখার জন্য বলেছি, সেখানে সংবাদকর্মীরাও থাকবেন। ওনারা তখন বলবেন যে তাদের পরিবারের সদস্যদের কবে কোথায় কীভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিংবা ফেরত এসেছেন কিনা।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়